21 February 2012

Jokes of the Day: 02

শিক্ষকঃ বলতো শিক্ষকদের স্থান কোথায়?
রফিকঃ আমার পিছনে ।
শিক্ষকঃ বেয়াদব; শিক্ষকদের সম্মান করতে শেখনি।
রফিকঃ আমার কি দোষ স্যার !!
আব্বু ই তো বলেন তোর পিছনে এতো শিক্ষক দিলাম তারপরেও তুই পাস করতে পারলি না ..

****************************************************************************
প্রেমিক-প্রেমিকার কথোপকথন—
প্রেমিক: আমি মনে হয় তোমাকে বিয়েটা করতে পারব না।
প্রেমিকা: এত দিন পর এ কথা বলছ কেন? কেন, কী হয়েছে বলো তো শুনি?
প্রেমিক: না, তেমন কিছু না। আমার বাসা থেকে নিষেধ আছে।
প্রেমিকা: তা তোমার বাসায় কে কে আছেন?
প্রেমিক: বেশি না। আমার এক স্ত্রী আর তিন সন্তান .
****************************************************************************
আপনারা যদি ১টি বৌ থাকে তাহলে তারা আপনার সাথে ঝগড়া করবে ।
আর
আপনার যদি ২টি বৌ থাকে তাহলে তারা আপনার জন্য ঝগড়া করবে ।
****************************************************************************
মাস্টারঃ তোমরা নিশ্চিই বুঝতে পেরেছো মানুষ কি ভাবে সৃষ্টি হয়েছে ?
এক ছাত্রঃ কিন্তু মাষ্টার মশাই বাবা যে বললো আমাদের সৃষ্টি হয়েছিল বানরের থেকে ।
মাষ্টারঃ এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না । কেননা এটা তোমাদের পারিবারিক ব্যাপার ।

****************************************************************************
রাতে গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন এক ভদ্রলোক। গাড়ি জ্যামে আটকে গেলে এক ভিক্ষুক এসে হাত পাতল।
: দয়া করে কিছু দিন স্যার !
: তুমি মদ খাও ?
: না স্যার।
: তুমি ধূমপান কর ?
: না।
: জুয়া খেল ?
: না।
: তুমি শিগগির আমার গাড়িতে উঠ।
: যা দেবার এখানেই দিন, স্যার।
: না, তোমাকে বাড়ি নিয়ে আমার স্ত্রীকে দেখাতে চাই যে, মদ, জুয়া, ধূমপান এ সবের সাথে না থাকলে মানুষের জীবনের কি ভয়াবহ অবস্থা হয়।
****************************************************************************
শিক্ষক: ওয়াদা করো সিগারেট পান করবে না
ছাত্ররা: ওকে স্যার, পান করবো না।
শিক্ষক: মেয়েদের পিছে ঘুরবেনা
ছাত্ররা: ঘুরবো না।
...শিক্ষক: ওদের ডিস্টার্ব করবে না।
ছাত্ররা: ওকে, ডিস্টার্ব করবো না
শিক্ষক: দেশের জন্য জীবন কোরবান করবে।
ছাত্ররা: অবশ্যই স্যার, এই রকম পানসে জীবন দিয়া করবই বা কি।
****************************************************************************
একজন মেয়ে আসল কাপড় ক্রয় করতে ।
মেয়ে: ভাই এই জামাটার দাম কত?
দোকানদার: চালাকি করে বললেন ৫ টা kiss ।
ময়ে: ঐ জামাটার দাম কত?
দোকানদার: ১০ টা kiss.
মেয়ে: ২টাই প্যাকেট করে দিন ।আমাদের কজের বুয়া বিল দিয়ে যাবে ।
****************************************************************************
এক মহিলা ডাক্তার পাগলাগারদে এক পাগলকে বল্ল : "আমার ওড়না খুলো"
পাগল তাই করলো।
ডাক্তারঃ " আমার কামিজ খুলে ফেলো "
পাগল ডাক্তারের কামিজ খুলে ফেললো !!!!
ডাক্তারঃ "এবার আমার সালোয়ার খুলো !!!!! "
পাগল তাও খুলে ফেল্ল।
এরপর ডাক্তার পাগলকে বল্ল : "আর কোনদিন যাতে আমার কাপড় পড়তে না দেখি... ঠিক আছে??"
পাগল বল্ল : ঠিক আছে !

****************************************************************************
সর্দারজী তার বসকে এস এম এস করলোঃ “আমি অসুস্থ, আজকে অফিসে আসা হবে না।”
বস এস এম এস এর রিপ্লাই দিলেনঃ “আমি অসুস্থ বোধ করলে আমার বউকে আদর করি। তুমিও এটা করে দেখতে পারো।”
ঘন্টা খানেক পর সর্দারজী আবার এস এম এস এর রিপ্লাই দিলেনঃ “অনেক ভালো বোধ করছি। আপনার বউ খুব ই চমতকার মেয়ে।”
****************************************************************************


ইংল্যান্ড দলের বিখ্যাত উইকেটরক্ষক ফ্রেড প্রাইস সেদিন দুর্দান্ত খেলছিলেন। সাত সাতটি ক্যাচ লুফে নিয়ে তিনি পুরো মাঠ কাঁপিয়ে দিলেন। খেলা শেষে যখন তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, তখন এক ভদ্রমহিলা এলেন তাঁর কাছে। বললেন, আপনার উইকেটকিপিং দেখে আমি দারুণ উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। আরেকটু হলে বোধহয় গ্যালারি থেকে পড়েই যেতাম। প্রাইস উত্তরে বললেন, পড়ে গেলেও ভয়ের কিছু ছিল না। আজ আমি যে ফর্মে আছি, আপনাকেও নিশ্চয়ই ক্যাচ ধরে ফেলতাম।

****************************************************************************
ছেলেঃ তোমাকে দেখলেই আমারহার্ট বিট থেমে যাওয়ার উপক্রম হয় :-)
মেয়েঃ তাই ?
ছেলেঃ হ্যা
মেয়েঃ কেন ?
ছেলেঃ এই ভুতের মত চেহার উপর পেত্নীর মত মেকাআপ লাগাইলে ভয় পামু না ??

****************************************************************************
টিচারঃ "তুমি দেরিতে এসেছ কেন???"
ছাত্রঃ " স্যার, বাবা মা ঝগড়া করছিলো"
টিচারঃ "তার সাথে তোমার দেরিতে আসার সম্পর্ক কি??"
ছাত্রঃ "আমার এক জুতা বাবার হাতে, আরেক জুতা মার হাতে ছিল

****************************************************************************
এক ভদ্রমহিলা গেছেন ডাক্তারের কাছে—
ভদ্রমহিলা: ডাক্তার সাহেব, আমার দুটো কান পুড়ে গেছে।
ডাক্তার: হুম্, দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু কীভাবে পুড়ল?
ভদ্রমহিলা: আমি আমার স্বামীর শার্ট ইস্ত্রি করছিলাম। হঠা ৎ ফোন এল। আমি ফোন না তুলে ভুল করে ইস্ত্রিটা তুলে কানে লাগিয়ে ফেলেছিলাম।
ডাক্তার: বুঝলাম, কিন্তু অন্য কানটা পুড়ল কীভাবে?
ভদ্রমহিলা: লোকটা যে আবারও ফোন করেছিল
****************************************************************************
একটি ছোট ছেলে একটি চাকু নিয়ে তার হাতে তার গার্লফ্রেন্ডের নাম লিখল।
কয়েক মিনিট পর সে জোরে কাঁদতে লাগল
কেন? ব্যাথা করছে?

না !
তাহলে?

বানান ভুল হইসে !!!
****************************************************************************
এক পাগলাগারদে ডাক্তার আর পাগলের কথোপকথন :
পাগলা গারদে এক পাগল ছাদের সাথে দড়ি লাগিয়ে ঝুলছিল………..
এটা দেখে ডাক্তার বললঃ ওই তুই ঝুলিস কেন ?
পাগলঃ আমি তো বাল্ব!
ডাক্তারঃ তাইলে জলিস না কেন??
পাগলঃ আরে পাগল তুই কোন দেশে আছিস এইটা বাংলাদেশ, কারেন্ট পামু কই???
****************************************************************************
এক পাগলাগারদে ডাক্তার আর পাগলের কথোপকথন :
পাগলা গারদে এক পাগল ছাদের সাথে দড়ি লাগিয়ে ঝুলছিল………..
এটা দেখে ডাক্তার বললঃ ওই তুই ঝুলিস কেন ?
পাগলঃ আমি তো বাল্ব!
ডাক্তারঃ তাইলে জলিস না কেন??
পাগলঃ আরে পাগল তুই কোন দেশে আছিস এইটা বাংলাদেশ, কারেন্ট পামু কই???
****************************************************************************
আনিস সাহেব একদিন হাটতে হাটতে দেখে একটি মেয়ে ব্রিজ থেকে লাফ দিতে যাচ্ছে।
আনিস সাহেব জিজ্ঞাস করলঃ আপনি কি আত্মহত্যা করতেছেন ???
মেয়েটাঃ হ্যাঁ...!!!
আনিস সাহেবঃ আপনি তো আত্মহত্যাই করতেছেন, তাই আমি কি আপনাকে একটা Kiss করতে পারি?
মেয়েটা রাজি হল, আনিস সাহেব Kiss করল।
Kiss করে জিজ্ঞাস করল আনিস সাহেবঃ আপনি কেন আত্মহত্যা করতেছেন ???
মেয়েটাঃ দেখুন, আমার কি দোষ, আমি ছেলে বলে কি মেয়েদের মতো কাপড় পড়ে একটু সাঁজতে পারি না, আজব, আমি মেয়েদের মতো কাপড় পড়তে চাই, কিন্তু আমার Family থেকে দেয় না, তাই এই জীবন আর রাখব না......!!!
কথাটা শুনে আনিস সাহেব নিজেই ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করল......!!!
****************************************************************************
মানসিক ডাক্তারের কাছে গেছেন এক রোগী।
ডাক্তার: কী সমস্যা আপনার?
রোগী: আমার নিজেকে একটা মুরগি মনে হয়।
ডাক্তার: কবে থেকে আপনার এ সমস্যা?
রোগী: যখন আমি ডিম ছিলাম, তখন থেকেই!
****************************************************************************
একবার ক্লাস এ পরীক্ষা চলছে ; যে শিক্ষক হল পরিদর্শনে আছেন পুরো হল এ চক্কর দিচ্ছেন ছাত্ররা বিন্দুমাত্র সুযোগ পাচ্ছেনা দেখা দেখি বা কথা বলার। ঠিক এই সময় এক ছাত্র শিক্ষক কে একটা চিরকুট ধরিয়ে দিলো সাথে সাথে শিক্ষক তার চেয়ার এ গিয়ে চুপচাপ বসে পড়লেন!! কি ছিল চিরকুট এ?? ...।
"স্যার আপনার প্যান্ট পিছন থেকে ফাটা"
****************************************************************************
মেয়েদের টি শার্ট এ সবচেয়ে মজার জিনিস কি লিখা থাকতে পারে
"excuse me --- আমার ফেইস উপরে "
****************************************************************************
যুবতী ছাতি মিস্ত্রির নিকট ভাঙ্গা ছাতি নিয়ে গেল
মিস্ত্রী, “ উপরের কাপড় খুলতে হবে,আর নীচে ডান্ডা লাগাতে হবে”
যুবতী, “ যা ইচ্ছা করো,কিন্তু পানি যেন ভিতরে না পড়ে”
****************************************************************************সব বিয়েই সুখের। পরবর্তী সময়ে একসঙ্গে থাকতে গিয়েই যত ঝামেলা শুরু হয়।
****************************************************************************অফিস থেকে বাড়ি ফিরে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে ভাতটা দাও, খেয়ে নিই।’

স্ত্রী ভাত বেড়ে দিল। ভাত খেয়ে স্বামী ড্রয়িংরুমের সোফায় বসতে বসতে বলল, ‘শুরু করার আগে এক গ্লাস পানি দাও…বড্ড তেষ্টা পেয়েছে।’


স্ত্রী পানি দিয়ে গেল।পানি খেতে খেতে স্বামী বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। তারপর বলল, ‘শুরু করার আগে এক কাপ চা দাও না আমাকে।’


এইবার স্ত্রী গেল খেপে, ‘অ্যাই, পেয়েছ কী তুমি আমাকে, আমি তোমার চাকর? অফিস থেকে ফিরে একটার পর একটা খালি অর্ডার মেরেই যাচ্ছ…নির্লজ্জ, অসভ্য, ছোটলোক, স্বার্থপর…’


স্বামী কানে তুলা গুঁজতে গুঁজতে বলে, ‘এই যে…শুরু হয়ে গেল।’
****************************************************************************৩৫-এর পর আমার কি আর বাচ্চা নেওয়া ঠিক হবে?
—না। ৩৫টা বাচ্চাই যথেষ্ট।
****************************************************************************
বাচ্চা ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা জানার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো তার জন্ম পর্যন্ত অপেক্ষা করা।
****************************************************************************
মানুষ যতদিনে বুঝতে পারে যে তার বাবা ঠিক কথাই বলত, ততদিনে তার ছেলে বড় হয়ে তার ভুল ধরতে শুরু করে।
****************************************************************************
আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, ‘স্বামী হলো ওয়াইনের মতো, যত পুরোনো ততই ভালো।’ পরদিন সে আমাকে সেলারে আটকে রাখল।
****************************************************************************
যদি বলো আকাশে চার বিলিয়ন তারা আছে, তাহলে না গুনেই সবাই সেটা বিশ্বাস করবে। কিন্তু যদি বলা হয়, মাত্র রং করেছি, চেয়ারের রংটা এখনো শুকায়নি, তাহলে সবাই হাত দিয়ে দেখবে।
****************************************************************************শিক্ষক : দ্বীপ কাকে বলে?
ছাত্র : দ্বীপ হলো কোনো ভূ-খণ্ড, যার একপাশ ছাড়া আর সব পাশেই জল দিয়ে ঘেরা।
শিক্ষক : তা দ্বীপের কোন পাশটা জল দিয়ে ঘেরা থাকে না?
ছাত্র : কেন, উপরের দিকটা!
****************************************************************************শিক্ষক তাঁর প্রিয় ক্লাস থ্রির ছাত্রকে বলছেন:
তোমার বাবা তোমাকে দুইটা খরগোশ দিল,তোমার মা তোমাকে দুইটা খরগোশ দিল তাহলে তোমার মোট কয়টা খরগোশ হবে।

ছাত্র বললো-- স্যার পাঁচটা।


শিক্ষক বললেন--একটু হিসাব করে বলো,

ছাত্র বললো-- স্যার হিসাব করেই বললাম ৫ টা।

এবার স্যার বললেন-- মনে করো তোমার বাবা তোমাকে দুইটা কলা দিলেন, আর তোমার মা তোমাকে দুইটা কলা দিলেন, তোমার মোট কয়টা কলা হবে?

ছাত্র------চারটা কলা হবে।
শিক্ষক এবার খুব খুশী হয়ে-- এইতো তুমি বুঝতে পারছো।
তাইলে এবার ভালো করে হিসাব করে বলোতো, তোমার বাবা তোমাকে দুইটা খরগোশ দিলেন, আর তোমার মা তোমাকে দুইটা খরগোশ দিলেন,তাহলে মোট কয়টা খরগোশ হবে/

ছাত্র বললো--স্যার পাঁচটা।

স্যারের মেজাজ এবার অত্যধিক খারাপ, কন্চি হাতে নিয়া এবার বললেন, ক্যামনে তোর পাঁচটা খরগোশ হয় বুঝাইয়া ক।
ছাত্র কেলকেলাইয়া হাসিয়া কয়,
স্যার আমার বাবায় যদি দুইটা আর মা য়ে যদি দেন দুইটা আর আমার আগের আছে একটা তাহলে মোট পাঁচটা না হইয়া কয়টা হয়? এতো হিসাবে কি আছে?
****************************************************************************প্রথম বন্ধু : তুই তো এমন ভাব নিস, যেন সবই জানিস। তাহলে বল তো দেখি, সাপের সবচেয়ে প্রিয় বিষয় কোনটা?
দ্বিতীয় বন্ধু : কেন, হিসসসস্-ট্রি!
****************************************************************************বহুদিন ধরে ছেলে আর মেয়েটি দেখা করছে। সম্পর্ক বেশ অন্তরঙ্গ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিন্তু ছেলেটি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেই না। শেষ পর্যন্ত মেয়েটি বলল, তোমার কি মনে হয় না, আমাদের বিয়ে করার সময় হয়েছে?
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ছেলেটি বলল, এত কিছুর পর আমাদের কে আর বিয়ে করবে, বলো?
****************************************************************************তিনবন্ধু গেছে মরুভূমিতে ঘুরতে। সেইখান ঘুরতে ঘুরতে দেখে একজন লোক মরমর। তাকে বাচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারে নাই। লোকটা তাদের হাতে মারা গেল। তবে মারা যাবার আগেই তাদের বলল, তোমরা আমাকে বাচানোর অনেক চেষ্টা করছ। তোমাদের উপর খুশী হয়ে আমি খোদার কাছে প্রার্থনা করলাম। হে খোদা তুমি এদের
একটা করে ইচ্ছা পুরন করো। তারপর তাদের বলল তোমরা কোনো একটা উচু জায়গায় উঠবা।এরপর চোখ বন্ধ করে দিবা
লাফ। লাফ দেয়ার সময় চিৎকার করে বলবা তোমরা কি চাও। খোদা তোমাদের সেটা দিবে।

কয়েকদিন পর তিনজন গেছে সুইমিং পুলে। উচু বোর্ডে উঠছে লাফ দিবে। একজনের মনে পড়ল দোয়ার কথা। লাফ দেবার সময় সে চিৎকার করে বলল- টাকা। সাথে সাথে সে শুন্যে মিলিয়ে গেলো আর গিয়ে পড়ল টাকা ভর্তি একটা সুইমিং পুলে। দ্বিতীয়জন লাফ দেবার সময় চিৎকার করে বলল-সেক্স। সে গিয়ে পড়ল সুইমিং পুল ভর্তি মেয়ের মাঝে। তৃতীয় জন বোর্ডে উঠে ভাবছে কি চাইবে কি চাইবে। সে দৌড় দিল।লাফ দেয়ার আগ মুহুর্তে তার প্যান্ট রেলিং এ আটকিয়ে গেছে।

আর সে চিৎকার করে বলে উঠল- oh shit
****************************************************************************এক নিভৃত কক্ষে প্রেমিক প্রেমিকা। প্রেমিকা তনুশ্রী স্টাইলে জামাকাপড় সব খুলে, বিহ্বল কন্ঠে,
: আমার যা কিছু আছে সব তোমার।
প্রেমিক দারুন অবাক হয়ে,
: তোমার কি মাথা খারাপ? এই সালোয়ার-কামিজ দিয়ে আমি কি করব? আমি পুরুষমানুষ না?
****************************************************************************আমেরিকার এক প্রেমিক তার প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ করলো। সময় মত মধ্যরাত্রিতে সে মই বেয়ে প্রেমিকার জানালা পর্যন্ত উঠলো। জানালার কাঁচে টোকা দিল প্রেমিক।
মেয়েটি ভয়ে ভয়ে জানালা খুললো। ছেলেটি জিজ্ঞেস করল, "তুমি তৈরী?" মেয়েটি বলল, হুশশশ! আমার ভয় করছে, বাবা যদি আমাদের ধরে ফেলেন।
ছেলেটি নির্বিকার ভাবে বলল, তাতে কি? তিনিতো নিচে আমার মই ধরে দাঁড়িয়ে আছেন।
****************************************************************************এক শহরে পরকীয়ার খুব চল। কমবেশী সবাই করছে। এরাই আবার চার্চে গিয়ে ফাদারের কাছে কনফেশন করে তারা কি করেছে। বৃদ্ধ ফাদার এইসব শুনতে শুনতে ক্লান্ত। এক রবিবারে তিনি সবাইকে বললেন আর কেউ যদি আমার কাছে পরকীয়ার কথা স্বীকার করে তবে এই শহর আমি ছাড়ছি। শহরের লোকজন আবার ফাদারকে খুবই পছন্দ করে। এরা ভাবল পরকীয়ার নতুন কোন শব্দ বা কোড ব্যবহার করতে হবে। শহরবাসী এরপর থেকে পরকীয়ার জন্য ব্যবহার করতে লাগল "আছাড়"।

" ফাদার!
আমি আছাড় খাইছি এই সপ্তাহে......"

নতুন পদ্ধতি খুব ভালো কাজ করে। ফাদার কিছুই টের পাননা। একদিন বৃদ্ধ ফাদার মারা যান। তার জায়গায় নতুন আর অল্পবয়স্ক একজন ফাদার আসে। সে ত আছাড় খাওয়ার কথা শুনতে শুনতে অবাক। সে গেলো শহরের মেয়রের কাছে।
" মেয়র! আমাদের শহরের রাস্তাগুলো ঠিক করা দরকার। লোকজন প্রচুর আছাড় খাচ্ছে"
মেয়র বুঝলেন বেচারাকে কেউ আছাড়ের মানে বুঝিয়ে দেয় নাই। আর বেকুব ফাদারটা চলে এসেছে সরাসরি তার কাছে। তার হাসি চলে আসল।
ঠিক এমন সময় ফাদার বললেন, "আমি বুঝি না কেনো আপনি হাসছেন??? আপনার বউই ত এই সপ্তাহে তিনবার আছাড় খাইছে"
****************************************************************************ছোট ফার্ম, বিশটার মত মুরগী আর একটা মাত্র মোরগ। মোরগটা বুড়িয়ে যাওয়াতে মালিক নতুন একটা মোরগ এনেছেন। নতুনজন খুবই তেজী। বুড়াকে তো পাত্তাই দেয় না। সবগুলো মুরগী তার চাই।

বুরো মোরগ একবার বলেছিল, অন্তত পাঁচটা আমাকে দাও, সে রাজি হয়নি। বলেছে সব ক"টা আমার।


পরদিন বুড়োটা জোয়ানটাকে গিয়ে বলল, ঠিক আছে, হয়ে যাক একটা পরীক্ষা। তুমি জিতলে সবগুলো তোমার।


কি পরীক্ষা?


তোমার সাথে আমার দৌড় প্রতিযোগিতা হবে। তবে, আমি একট
ু বয়স্ক, একটু সুযোগ তো আমাকে দিতেই হবে।

কি সুযোগ?

আমি তোমার দশফুট সামনে থেকে শুরু করবো।

নো প্রবলেম। দশফুট এমন আর কি? জোয়ান মোরগ, ইয়াং কক, রাজি হয়ে গেল।

নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হল দৌড়। বুড়ো দশফুট সামনে, নতুন মোরগ পেছনে দৌড়াচ্ছে। প্রাণপণ দৌড়।

প্রায় যখন জোয়ানটা বুড়োটাকে ধরে ফেলেছে, তখনই একটা গুলির শব্দ শোনা গেল। ফার্মের মালিকের বিরক্তিও শোনা গেল, " শিট্ ! আরও একটা গে মোরগ! শালার মোরগগুলার হইছে কি? খালি বুড়াটারেই ধাওয়ায়?"
****************************************************************************
এক মিসনারি স্কুলে কিছু বাচ্চা টিফিন নেবার জন্য লাইনয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আপেলের পাত্রে মিস একটা ট্যাগ লাগিয়ে দিলেন "সবাই একটা করে আপেল নেবে, বেশি নেবার চেষ্টা করবে না, কারণ ইশ্বর দেখছেন।"


এটা দেখে এক বাচ্চা চকলেটের পাত্রে ট্যাগ লিখল- "যত খুশি নাও কারণ ইশ্বর আপেল পাহারা দিচ্ছেন।"
****************************************************************************
এক বাচ্চা মেয়ে একদিন বারান্দায় বসে বসে তার মায়ের থালা বাসন ধোয়া দেখছিল
হঠাত সে দেখল তার মায়ের মাথায় কিছু চুল সাদা।


-মা, তোমার মাথায় কিছু চুল সাদা কেন?
-তুমি যখন একটা খারাপ কাজ কর তখন আমি অনেক রেগে যাই, আমার কান্না পায় আর একটা চুল সাদা হয়ে যায়।
-আচ্ছা মা তাহলে নানির মাথার সব চুল সাদা কেন?
****************************************************************************
স্কুলে এক অনুষ্ঠানে ক্লাস টু এর সব ছাত্রছাত্রীর একটা গ্রুপ ছবি তোলা হল, মিস সবাই কে অনুরোধ করছেন একটা করে ছবি নেবার জন্য।
-তোমরা সবাই যখন অনেক বড় হয়ে যাবে তখন ছবি দেখে বলবে, ঐ যে আমার বন্ধু মোনা, একসাথে কত মারা মারি করেছি, ও এখন ডাক্তার। ঐ যে আশিক, ও ইঞ্জিনিয়ার............


সাথে সাথে এক পিচ্চি বলে উঠলো , আর ঐ আমাদের মিস, উনি মরে গেছেন।
****************************************************************************
একটা ছেলে গভীর রাতে একা একা টিভিতে কি যেন দেখছিল। হঠাৎ ছেলেটির দাদু ঐ ঘরে প্রবেশ করল..............................................................
ছেলেটি ফ্যাশন টিভি দেখছিল।
দাদু একটু দেখার পর নাতি কে প্রশ্ন করল,
ঐ মেয়ে গুলা এত কম কাপড় পরছে কেন রে ?
নাতি উত্তর দিল,
দাদু, ওরা খুব গরীব তো তাই
দাদু বলল,
এর চেয়ে গরীব কেউ আসলে আমারে ডাক দিস তো !
****************************************************************************
একদিন উপবন ট্রেনে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ট্রেনটা রেললাইন ছেড়ে মাটিতে নেমে গেল। সাথে সাথে হুরোহুরি আর সব যাত্রীদের আতংকিত চিৎকার শুরু হয়েগেল। কিভাবে কিভাবে, কিছুক্ষন পর ট্রেনটা আবার রেললাইনে উঠে এল। সব যাত্রী মিলে হৈ চৈ করে ট্রেনটা থামিয়ে বেচারা ট্রেন ড্রাইভারকে কলার ধারে নিচে নামিয়ে নিয়ে এল। তাদের জিজ্ঞাসা, ট্রেন কেন লাইন ছেড়ে মাটিতে যাবে, তুই তাহলে কি করিস? বেচারা ড্রাইভার বল্ল কি করব ভাই, একজন লোক হঠাৎ লাইনের উপর এসে পরল... । এই বলা মাত্র লোকজন এই মারে তো সেই মারে। বলে, আরে হারামজাদা, এতগুলো যাত্রীর জীবনের চেয়ে একজন বোকা লোকের জীবন তোর কাছে বড় হলো? এত গুলো মানুষের রিস্ক তুই কেন নিলি? তুই ওর উপরদিয়ে গাড়িতুলে দিলিনা কেন? .... তখন ড্রাইভার বলে, আমি তো তাই করতে চাইছিলাম, কিন্তু লোকটা হঠাৎ মাঠের দিকে দৌড় দিল.....।
****************************************************************************
এক গৃহকর্মী তার মালিক গৃহকত্রীর কাছে বায়না ধরেছে তার বেতন বাড়াতে হবে।
গৃহকত্রীঃ তোমার বেতন বাড়ানো হয়েছে ছয় মাসও হয় নি। এখনি আবার বেতন বাড়ানোর আবদার কেন?
গৃহকর্মীঃ এই সময়ের মধ্যে আমি তিনটি সার্টিফিকেট পেয়েছি...।তাই বেতন বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছি।


গৃহকত্রীঃ কি কি সার্টিফিকেট?
গৃহকর্মীঃ আমি আপনার চেয়ে ভাল কাপড় আয়রন করতে পারি।


গৃহকত্রীঃ কে দিয়েছে এই সার্টিফিকেট?
গৃহকর্মীঃ জ্বী, স্যার মানে... আপনার স্বামী......

গৃহকর্মীঃ হুম, আর কি সার্টিফিকেট পেয়েছো......
গৃহকর্মীঃ আমি আপনার চেয়ে ভাল রান্না করতে পারি...

গৃহকত্রীঃ কে বলেছে তুমি আমার চেয়ে ভাল রান্না কর? (বেশ রাগত স্বরে...)
গৃহকর্মীঃ জ্বী, আপনার স্বামী বলেছেন...

গৃহকত্রীঃ আচ্ছা ঠিক আছে, হতে পারে তুমি আমার চেয়ে ভাল রান্না কর......আমি কি চাকরানী নাকি যে ভাল রান্না জানতে হবে? বলো আরেকটি কি সার্টিফিকেট পেয়েছ?

গৃহকর্মীঃ আমি আপনার চেয়ে বিছানায় ভাল পারফর্ম করতে পারি।
কত্রী তো এবার রেগে আগুন। আমার স্বামী বলেছে এই কথা?? ওর সাথে তোমার তাহলে এইসবও হয়??

গৃহকর্মীঃ জ্বী না, আপনার স্বামী বলেনি......বলেছে আপনার গাড়ির ড্রাইভার!

গৃহকত্রীঃ (কত্রী এবার চুপ...জোঁকের মুখে লবন পড়েছে) ঠিক আছে তোমার বেতন বাড়ায়ে দেয়া হবে...এসব নিয়ে কথা বলার দরকার নাই।

****************************************************************************
দোস্ত, তোমার জন্য উপদেশ:

এক) কখনো স্ত্রীর পছন্দের উপর হেসো না।

(কারণ, তুমিও তাদের একটি চয়েস)

দুই) কখনো নিজের পছন্দের বড়াই কর না...

(কারণ, তোমার স্ত্রীও তার একটি)
****************************************************************************
একটি সমীক্ষায় দেখে গেল...
একজন পুরুষ দৈনন্দিন ২৫০০০ শব্দ এবং মহীলা ৩০০০০ শব্দ উচ্চারণ করে। এতে মোটেও সমস্যা হবার কথা নয়, অথচ নারীদের টকেটিভ বলা হয়!!!

অপর সমীক্ষায় দেখা গেল-


পুরুষ যখন ২৫০০০ শব্দ উচ্চারণ করে অফিস থেকে বাসায় ফিরে তখনই নারীর ৩০০০০ শব্দ উচ্চারিত হওয়া শুরু করে।
****************************************************************************
বিবাহিত জীবন সুখী হয় দেয়া এবং নেয়ার মধ্যে।
স্বামী টাকা পয়সা, গিফ্ট, পোশাক দিয়ে থাকে স্ত্রীরা নিয়ে থাকে।
কিন্তু, স্ত্রীরা যখন এডভাইজ, টেনশন, লেকচার দিতে থাকে তখন অনেক স্বামীই সেটা ঠিক মত নিতে পারেনা, ফলে গন্ডগোল দেখা দেয়।
****************************************************************************
মেয়েদের ইজ্জত দিতে শেখ, কারণ আজ তুমি তাদের ইজ্জত দিলে হতে পারে কাল সে ও তোমাকে তার ইজ্জত দিবে...
****************************************************************************
ALL GIRLS ARE DEVIL BUT MY WIFE IS QUEEN..
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.

.
.
.
.
.
OF THEM
****************************************************************************

Jokes of the day: 01

একটি বাচ্চা ছেলে তার যুবক গৃহ শিক্ষকের উপর রেগে আগুন হয়ে বলল, কাল রাতে যাবার সময় গেটের কাছে আপনি আমার বোনকে চুমো খেয়েছিলেন, আমি দেখেছি। যুবক কাচুমাচু খেয়ে বলল, তাই বুঝি তুমি দেখে ফেলেছ। আচ্ছা এই তিরিশ টাকা নাও আর কাওকে বলবে না কিন্তু।
ছেলেটা তিরিশ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে অপর পকেট থেকে পাঁচ টাকার নোট বের করে তার গৃহ শিক্ষকের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, এই নিন বাকী টাকা। সবার কাছ থেকে যা নেই – আপনার কাছ থেকে বেশী নেব কেন।


**************************************************************
মনা পাগলা ভোরবেলায় রিকশায় চড়ে যাচ্ছে দেখে অন্য এক লোক তাকে ডেকে বলল, কি ভাই, ভোরবেলায় রিকশায় চড়ে কোথায় যাচ্ছেন?
মনা পাগলা : মর্নিং ওয়াকে।
লোক : তাহলে রিকশায় চড়ে যাচ্ছেন কেন?
মনা পাগলা : ভাই, ঘুম থেকে উঠতে লেট হয়ে গেছে, তাই রিকশায় চড়ে যাচ্ছি।


**************************************************************
দীর্ঘদিন চিকিৎসা করার পর তিন পাগলকে নিয়ে বসেছেন চিকিৎসক।
চিকিৎসক : বলো তো, ৩ কে ৩ দিয়ে গুণ করলে কত হয়?
প্রথম পাগল: ৩৯৮
হতাশ চিকিৎসক দ্বিতীয় জনকেও একই প্রশ্ন করলেন।
দ্বিতীয় পাগল: মঙ্গলবার
হতাশ হয়ে চিকিৎসক তৃতীয় জনকেও একই প্রশ্ন করলেন।
তৃতীয় পাগল: ৯
‘ভেরি গুড! এবার বলো তো, তুমি এটা কীভাবে বের করলে।’ খুশি হয়ে বললেন চিকিৎসক।
তৃতীয় পাগল: খুবই সহজ! ৩৯৮ থেকে মঙ্গলবার বিয়োগ করেছি!


**************************************************************
কুদ্দুস চাচা বাসে উঠে একাই একটা ডাবল সীট দখল করে বসেছেন।
কিছুক্ষণ পর একজন তরুনী এসে চাচার পাশে বসে পড়ল।
একটু পর মেয়েটি বলল
মেয়ে – চাচা একটু চাপবেন
চাঁচা – কই চাপমু
মেয়ে – একটু বামে চাপেন
চাঁচা - বাসের মইধ্যে কেমনে চাপি! লও দুই জনেই নাইমা একখান রিক্সা লই…


**************************************************************
ছোট মেয়ে তার মাকে বলছে-- জানো মা আপু না অন্ধকারেও দেখতে পায়।
মা -- কেমন করে বুঝলি?
ছোট মেয়ে-- প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ার সময় যখন কারেন্ট চলে গেল তখন আপু না আমার স্যারকে বলছে এই তুমি আজ সেভ কর নাই ক্যান?
**************************************************************
একজন মহিলা ২ সপ্তাহের জন্য ইটালি যাবেন কোম্পানি ট্রেনিং এ। তার স্বামী তাকে এয়ারপোর্টে পৌছে দিলেন এবং তার শুভযাত্রা কামনা করলেন। তার স্ত্রী ধন্যবাদ দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন "তোমার জন্য কি আনব?"

উত্তরে তার স্বামী হেসে বললেন "একজন ইটালী মেয়ে"
স্ত্রী কিছু না বলে চলে গেলেন। ২ সপ্তাহ পরে তার স্বামী আসলেন তাকে রিসিভ করতে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন "যাত্রা কেমন হল?"

"চমৎকার। ধন্যবাদ" উত্তর দিলেন তার স্ত্রী।

"আমার উপহার এর কি হল?" জিজ্ঞেস করলেন স্বামী।
স্ত্রী বললেন"কোন উপহার?"

"ঐ যে আমি একটা ইটালীয়ান মেয়ে চেয়েছিলাম..." বললেন স্বামী

"ওহ, ঐটা...আমি যা পেরেছি করেছি...কিন্তু মেয়ে কিনা তা জানতে ৯ মাস অপেক্ষা করতে হবে।
**************************************************************
প্রচণ্ড অলস এক লোক বড়শিতে মাছ তুলে বসে আছে।
পাশ দিয়ে একজনকে যেতে দেখে কোমল স্বরে বললেন, ভাই মাছটা একটু খুলে দেবেন?
একটু বিরক্ত হয়েও মাছটা খুলে দিলেন লোকটি। তারপর বললেন, এত অলস আপনি! এক কাজ করেন- একটা বিয়ে করেন। ছেলেপেলে হলে আপনাকে কাজে সাহায্য করতে পারবে।
উত্তর এলোঃ ভাই, আপনার জানাশোনা কোনো গর্ভবতী মেয়ে আছে?


**************************************************************


স্ত্রী: আমার সাথে ১০ বছর সময় কাটানো তোমার কাছে কি?
স্বামী: আরে সে ১ সেকেন্ড মনে হয়। চোখের পলকে কেটে গেল প্রিয়ে...
স্ত্রী: (খুশি হয়ে) আমার জন্য ১০,০০০ টাকা তোমার জন্য কি?
স্বামী: আরে সেত ১ টাকার মত। কোন ব্যাপারই না।
স্ত্রী: (ততধিক খুশি হয়ে)তা জানু আমাকে ১০,০০০ টাকা দিতে পারবে এখন?
স্বামী: (গম্ভির হয়ে) দাড়াও এক সেকেন্ড পরে দেই।


**************************************************************
দুই লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে মারামারি করছে। আর একটা বাচ্চা দাঁড়িয়ে তা দেখছে। এক পর্যায়ে পুলিশ বাচ্চাটিকে জিজ্ঞেস করল, তোমার বাবা কোনজন?
বাচ্চাটি উত্তর দিল, এটা ঠিক করার জন্যই তো ওরা মারামারি করছে।


**************************************************************


দুই ঘনিষ্ট বন্ধুর কথোপকথন।
প্রথম বন্ধুঃ আমার স্ত্রীর লিপস্টিকের স্বাদ অন্য মেয়েদের থেকে একদম অন্যরকম।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ ঠিক বলেছিস, কেমন যেন কমলা কমলা স্বাদের!
**************************************************************
এক লোকের বাড়ি সার্চ করে জাল নোট পাওয়ার যন্ত্রপাতি পাওয়া গেল। তাকে গ্রেফতার করা হলো।
লোকটি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলল, আমাকে গ্রেফতার করা হলো কেন? আমার কাছে তো জাল নোট পান নি।
পুলিশঃ তাতে কি! জাল নোট ছাপার যন্ত্রপাতি তো পেয়েছি।
সেই লোকঃ তাহলে আমাকে রেপ করার জন্য গ্রেফতার করুন।
পুলিশঃ কেন, আপনি কাউকে রেপ করেছেন?
সেই লোকঃ না, রেপ করার যন্ত্র তো আছে!
**************************************************************


কী রে, এই নতুন সাইকেল কোথায় পেলি?
একটা মেয়েকে চুমু খেলাম তাতেই…।
মানে?
মানে ওকে নিরিবিলিতে একটা চুমু খেতেই মেয়েটা বলল, আজ আমার সবকিছু নিতে পার। তখন আমি ওর সাইকেলটা নিয়ে চলে এলাম।
**************************************************************
স্ত্রীঃ প্রত্যেক দিন পাশের বাসার ছেলে-মেয়ে দুটিকে দেখি বিদায় নেবার সময় পরস্পরকে চুমু খায়, তুমি ওরকম কর না কেন?
স্বামীঃ তুমি তো মেয়েটির সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দাও নি।
**************************************************************
দুই বন্ধুর আলাপচারিতা-
আচ্ছা তুই নাকি কামালের স্ত্রী’র সাথে পালিয়ে যাবার চিন্তা করেছিলি?
হ্যাঁ। সেদিন ওর স্ত্রীকে নিয়ে পালাবার জন্য ওর বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছিলাম।
তাহলে পালালি না কেন!
আর বলিস না, বাড়িতে ঢোকার মুখেই কামালের সাথে দেখা। সে আমাকে দেখেই খুশিতে ডগমগ হয়ে বলল, দাঁড়া, তোদের ট্যাক্সি ডেকে দিচ্ছি।
**************************************************************

সুন্দরী এক মহিলা থানায় গিয়ে অভিযোগ করল, ওসি সাহেব, আমার স্বামী বাজারে গিয়ে আর ফিরে আসে নি।
ওসি সাহেবঃ আপনি নিশ্চিন্তে বাড়ি যান, আমি বাজার নিয়ে আসছি।
**************************************************************
বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই আদালতে হাজির। হাকিম মিটমাটের একটা প্রাথমিক চেষ্টা করলেন।
প্রথমে স্বামীকে প্রশ্ন করলেন, আপনি কি জন্য বিবাহ বিচ্ছেদ চাচ্ছেন?
আমি চেয়েছিলাম ছেলের বাপ হতে, অথচ ও দুইবারই মেয়ে প্রসব করল।
স্ত্রী হুঙ্কার দিয়ে বলে উঠলেন- মরদের মুরোদ তো ঢের দেখেছি। তোমার ভরসায় থাকলে মেয়ে দু’টিও দুনিয়ার মুখ দেখত না।
**************************************************************
ছেলের জড়তা কাটাতে মা তার ছেলেকে বললেন, যাও তো বাবু, তোমার নতুন গভর্নেসকে একটা চুমু দিয়ে আস। ছেলে গম্ভীর চেহারায় উত্তর দিল, হুঁ, আর বাবার মতো একটা চড় খাই আর কি!
**************************************************************
ছেলেঃ মা, বাবা কি খুব লাজুক?
মাঃ হ্যাঁ, উনি লাজুক না হলে তোমার বয়স আরো ছ'বছর বেশি হত।
**************************************************************
মেয়েঃ দেখবে কাল ডাক্তার আমাকে কোথায় ইঞ্জেকশানটা দিয়েছিল?
ছেলেঃ (অতি উৎসাহী) অবশ্যই! কোথায়?
মেয়েঃ ঐ যে ঐ হাসপাতালটায়।
**************************************************************
মেয়েঃ দেখবে কাল ডাক্তার আমাকে কোথায় ইঞ্জেকশানটা দিয়েছিল?
ছেলেঃ (অতি উৎসাহী) অবশ্যই! কোথায়?
মেয়েঃ ঐ যে ঐ হাসপাতালটায়।
**************************************************************
এক কৃপণ ছেলের সাথে এক কৃপণমেয়ের প্রেম হয়ে গেল
মেয়েঃযখন বাবা ঘুমিয়ে যাবেআমি রাস্তাতে একটা টাকার কয়েন ফেলব তুমি শব্দ শুনে ভিতরে চলে আসবা
কিন্তু ছেলে কয়েন ফেলার এক ঘণ্টা পর আসলো
মেয়েঃএত দেরি করলা কেন??
ছেলেঃ আরে আমি কয়েন টা খুজতাছিলাম
মেয়েঃ আরে পাগল আমি তো ওইটা সুতা বাইন্ধা ফেলছিলাম পরে আবার উঠাইয়া নিছি।
**************************************************************
একবার দেবতা ঠিক করলেন,স্বর্গে সেসব পুরুষ ঢুকবে তাদের ২টা লাইন হবে|

এক লাইনে ঢুকবে যারা পৃথিবীতে স্ত্রীদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছে তারা|

আর আরেক লাইনে যারা হয়নি তারা ঢুকবে|

আর মহিলারা সরাসরি ঢুকবে|

প্রথম লাইনে দেখা গেলো মাইলের পর মাইল লম্বা লাইন|

আর দ্বিতীয় লাইনে দেখা গেলো মাত্র ১জন|

দেবতা দেখে বললেন প্রথম লাইনের পুরুষদের বললেন, ”তোমাদের লজ্জা পাওয়া উচিত!তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের দ্বারা অত্যাচারিত
হয়েছ;আর ওই লাইনে দেখ একজন পুরুষ সে বাঘের মত দাড়িয়ে আছে;আমি তার জন্য গর্বিত।
ব্যাটা, তুমি বল কিভাবে তুমি এই লাইনে দাঁড়াতে পারলে”

উত্তরে সেই পুরুষ জবাব দিল, “আমি জানি না;আমার স্ত্রী আমাকে এই
লাইনে দাঁড়াতে বলেছে;আমি দাঁড়িয়েছি
**************************************************************
নোয়াখালীর এক লোক electronics এর দোকানে যেয়ে দোকানদারকে জিজ্ঞাস করলো ,

: ভাই, এই টিভি টার দাম কত?

দোকানদার : আমি নোয়াখালীর লোকের কাছে টিভি বেচিনা ।

কিছুক্ষন পর সে অন্য জামা পরে ঐ দোকানে যেয়ে চিটাগাং এর ভাষায় বলল ,

: ভাই, এই টিভি টার দাম কত?

দোকানদার আবার বলল ,আমি নোয়াখালীর লোকের কাছে টিভি বেচিনা।

কিছুক্ষন পর লোকটা আবার বেশ বদল করে এবার সিলেটী ভাষায় একই কথা বললে দোকানদার বেশ বিরক্তির সাথে আবার না করলে এবার লোকটি বেশ রাগের সাথে বলল ,

ঃ কেন? নোয়াখালীর লোকের কাছে টিভি বেচবেন না কেন?

“মাইক্রো ওভেন কে টিভি বলা একমাত্র নোয়াখালীর লোকের দ্বারাই সম্ভব” দোকানদারের জবাব ।
**************************************************************
এক লোক একটা অভিজাত রেষ্টুরেন্টে ঢুকে দেখল তিনটা দরজা
১ম দরজায় লিখা: চাইনিজ খাবার
২য় দরজায় লিখা: বাঙালী খাবার
৩য় দরজায় লিখা: ইংরেজ খাবার

লোকটি তার পছন্দ অনুযায়ী চাইনিজ খাবারের দরজায় ঢুকলে সেখানে আরো দুটি দরজা দেখতে পেলেন
১ম দরজায় লিখা: বাড়ি নিয়া খাইবেন
২য় দরজায় লিখা: হোটেলে খাইবেন

লোকটি হোটেলে খেতে চেয়েছিল তাই হোটেলে খাইবেন লিখা দরজায় ঢুকলে সেখানে আরো দুটি দরজা দেখতে পেলেন
১ম দরজায় লেখা: এসি
২য় দরজায় লেখা: নন এসি

লোকটি এসি রুমে খেতে চেয়েছিল তাই সে এসি লিখা দরজাটায় ঢুকলে সেখানে আরো দুটি দরজা দেখতে পেলেন
১ম দরজায় লিখা: ক্যাশ খাইবেন
২য় দরজায় লিখা: বাকি খাইবেন

লোকটি ভাবল বাকি খেলেই ভাল হয় তাই সে বাকি খাবেন দরজা টা খুলে বেরোতেই সে নিজকে রাস্তার মধ্যে পেল।
**************************************************************

17 February 2012

বাংলা বানান

একবার এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাভাষার প্রাচীনতম আদিকালের পাতি কবি গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাস।তখন বাংলাভাষায় প্রাথমিক অবস্থা ছিল।
উপস্থাপকঃ আচ্ছা আদিকালের পাতি কবি গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাস আপনি তো বাংলাভাষায় স্বরবর্ণ আবিস্কারের আগেই কবিতা লিখেছেন তাইনা?
গুরুকবিঃ আজ্ঞে হ্যা।

উপস্থাপকঃযখন বাংলাভাষায় স্বরবর্ণ আবিস্কার হয়নি তখন কিভাবে কবিতা পড়তেন?

গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাসঃ
পখ সব কর রব রত্র পহইল কনন কসম কল সকল ফটল

উপস্থাপকঃ যখন আ-কার আবিস্কার হইল তখন কিভাবে কবিতা পড়তেন?
গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাসঃ
পাখা সাবা কারা রাবা রাত্রা পাহাইলা কানানা কাসামা কালা সাকালা ফাটালা

উপস্থাপকঃ যখন ই-কার আবিস্কার হইল তখন?’
গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাসঃ
পিখি সিবি কিরি রিবি রিত্রি পিহিলি কিনিনি কিসিমি কিলি সিকিলি ফুটিলি

উপস্থাপকঃআর যখন উ-কার আবিস্কার হইল তখন?
গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাসঃ
পুখু সুবু কুরু রুবু রুত্রু পুহুলু কুনুনু কুসুমু কুলু সুকুলু ফুটুলু

উপস্থাপকঃ যখন এ-কার আবিস্কার হইল তখন কিভাবে পড়তেন?
গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাসঃ
পেখে সেবে কেরে রেবে রেত্রে পেহেলে কেনেনে কেসেমে কেলে সেকেলে ফেটেলে।

উপস্থাপকঃযখন সবগুলো স্বরবর্ণ আবিস্কার হল তখন কিভাবে পড়লেন??
গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাসঃ
“পাখি সব করে রব, রাত্রি পোহাইল কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল।“

জসীমউদদীন কথা

জসীমউদদীন কথা
আহমদ ছফা


উনিশশো পঁয়ষট্টি সালের কথা। আমি একটা কাগজে চাকরি পেয়েছিলাম। এটা ছিল যুদ্ধকালীন চাকরি। ভারতবর্ষকে খুব কড়া কড়া ভাষায় গাল দিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখেছিলাম। সম্পাদক সাহেব লেখাটি পড়ে ভীষণ খুশি। আমাকে বললেন, আপনি এ ধরনের লেখা লিখতে থাকেন এবং তাঁর সহকারীদের ডেকে বললেন, এই তরুণের লেখা দেখে দেয়ার প্রয়োজন নেই। সরাসরি প্রেসে দিলেই চলবে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রথমদিকে একটা প্রবল জোশ অনুভব করছিলাম; কিন্তু কিছু দিন না যেতেই যুদ্ধের মজা টের পেয়ে গেলাম। রাস্তার যত পাগল আছে সব ভারতের গুপ্তচর মনে করে গ্রেফতার হলো। এক ভদ্রমহিলা টর্চ জ্বালিয়ে বাড়ির ছাদে তাঁর ছেলের খোঁজ করছিলেন, গোটা পরিবারসুদ্ধ তাকে ধরে নিয়ে গেল। বলা হলো, তিনি ভারতীয় বিমানকে টর্চ জ্বালিয়ে দিয়ে আক্রমণ করার সঙ্কেত দিচ্ছিলেন।
পত্র-পত্রিকায় রামায়ণ-মহাভারত থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত সবাইকে ধোলাই করা চলছিল। প্রগতিশীল বলে কথিত আমাদের একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক টেলিভিশন ও রেডিওতে এই একতরফা নির্জলা নিন্দা পাঠ করে শোনাতেন।
আমি যুদ্ধের মজা টের পেয়ে গেলাম। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়ালো শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। আমি একটা অপকর্ম করে বসলাম। একটা রচনায় লিখে বসলাম, ‘শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করা ভালো; কিন্তু তাঁর উজ্জ্বল সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্পর্কে ক্রমাগত নিন্দা প্রচার এগুলো খারাপ কাজ।’ আমার লেখা কেউ পড়ে দেখত না, তাই লেখাটি যথারীতি ছাপানো হয়ে গিয়েছিল। পত্রিকাটি সরকারি। চিন্তা করে দেখুন আমার অবস্থা! আমার থাকার কোনো স্থায়ী ঠিকানা ছিল না। তাই আমাকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। দুপুরবেলা যখন অফিসে এলাম, দেখি এক গুরুতর কাণ্ড। বুড়ো সম্পাদকের চাকরি যায় যায় অবস্থা। কম্পোজিটররা থর থর করে কাঁপছে। কথা বাড়াব না। আমি প্রাণে বেঁচে যেতে পেরেছিলাম।
এই রকম অসহায়, বন্ধুহীন আমার কখনও মনে হয়নি। সারাদিন ঢাকা শহরে হেঁটেও একজন লোকের সাক্ষাত্ পাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি, যার কাছে মনের বেদনা প্রকাশ করতে পারি।
সেই সময়ে একজন আশ্চর্য প্রবীণ ভদ্রলোকের সঙ্গে সাক্ষাত্ ঘটেছিল। তিনি হলেন কবি মহিউদ্দীন সাহেব। মহিউদ্দীন সাহেব ফাউস্ট এবং নীটশের Thus Spoke Zorathusthra বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন। এই ভদ্রলোক যুদ্ধের বিরুদ্ধে একখানি পুস্তিকা ইংরেজিতে লিখে ছেপে সবার কাছে বিলি করেছিলেন। তাঁর সাহস এবং মানবিকতা দেখে আমি বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম।
আমার কোনো থাকার জায়গা ছিল না। আর আমার উল্টোপাল্টা কাজ করার জন্য এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। বন্ধু-বান্ধবেরাও আমাকে আশ্রয় দিতে রাজি ছিলেন না। উপায়ান্তর না দেখে আমি নারিন্দার গৌড়ীয় মঠের বিপরীত দিকে ৪৯ নম্বর বাড়িতে আমার বন্ধু রফিক সন্যামতের শরণাপন্ন হলাম। এখন অবশ্য তিনি সন্যামত লেখেন না। তার বদলে সেরনিয়াবাত শব্দটি নামের শেষে লিখে থাকেন। তিনি শেখ সাহেবের ভগ্নিপতি মরহুম আবদুর রব সেরনিয়াবাতের চাচাতো ভাই। রফিকদের বাড়ির চিলেকোঠাটি ছিল তখন লেখক, কবি, গায়ক এবং রাজনৈতিক কর্মীদের স্থায়ী আড্ডাস্থল। যখন কারও কোনো মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকত না, এসে নারিন্দার ৪৯ নম্বর বাড়ির চিলেকোঠায় আশ্রয় নিত।
এই বাড়িতে কবি জসীমউদ্দীন সাহেব আসা-যাওয়া করতেন, সে কথা আমি শুনেছি। কবি সাহেবের কবিতা পড়েছি বটে; তাকে কোনো দিন চোখে দেখিনি। নারিন্দা এলাকার ছেলেদের নিয়ে কবি সাহেব একটি সাহিত্যের আসর বসাতেন। রফিকের বোন এবং বোনাই দু’জনই কবি সাহেবের ভীষণ গুণমুগ্ধ।
চিলেকোঠায় বসে বসে দিন কাটছিল না। আর পথে বের হওয়ারও সাহস পাচ্ছিলাম না। মনের মধ্যে একটা প্রচণ্ড অস্থিরতা। মনে হতো আমি কুয়োর মধ্যে ডুবে গেছি, অথবা শূন্য থেকে ঝুলছি। দাঁড়ানোর মতো মাটি পাচ্ছি না। বার্ট্রান্ড রাসেলের Sceptical Essays বইটা আমার সঙ্গে ছিল। আগে একটা-দুটা রচনার অনুবাদ করেছিলাম। এই চিলেকোঠায় থাকা অবস্থায় সময় কাটানোর জন্য আমি অন্য প্রবন্ধগুলো অনুবাদে হাত দিই। তখনকার সময়ে আমার যে বিদ্যা-বুদ্ধি, তা দিয়ে এরকম একটা অনুবাদ কাজ করা খুব সহজ ছিল না। প্রতি পঙিক্ত অনুবাদ করতে গিয়ে বার বার করে অভিধান খুলতে হতো। অনুবাদের কর্মটি যথেষ্ট কঠিন এবং শ্রমসাপেক্ষ ব্যাপার ছিল। একদিন দুপুরবেলা আমি নিবিষ্ট মনে অনুবাদ করছি। এ সময়ে ভরাট গলায় বেশ কর্কশ স্বরে ‘ও রফিক, ও রফিক’ ডাকতে ডাকতে এক ভদ্রলোক চিলেকোঠায় উঠে এলেন। তাঁর পরনে আধ-ময়লা গেরুয়া খদ্দরের পাঞ্জাবি এবং ততোধিক ময়লা একটি পায়জামা, পায়ে সেন্ডেল। তখন শীতকাল। গায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি ভদ্রলোকের নৌকোর মতো বিরাট পা। শীতের প্রকোপে এখানে-সেখানে ফেটে গেছে। বেশ মোটাসোটা স্বাস্থ্যবান চেহারা। আমি বললাম, ‘এখানে রফিক নেই।’ ভদ্রলোক বললেন, ‘তুমি কে?’ তখন চ্যাংড়া বয়স, টনটনে আত্মসম্মান জ্ঞান। খেতে না পাই ক্ষতি নেই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাতে কি এসে যায়? হঠাত্ করে একজন বাইরের লোক এসে ‘তুমি’ সম্বোধন করবে, এটা কি বিনা প্রতিবাদে মেনে নেয়ার বিষয়? আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম, ‘আপনি কে?’ ভদ্রলোক একটুখানি চুপ করে থেমে থেমে কাটা কাটা স্বরে জবাব দিয়েছিলেন, ‘আমি হলাম কবি জসীম উদ্দীন।’ অনুবাদকর্মটি রেখে ভদ্রলোকের চেহারাটি জরিপ করে দেখলাম। সেই মুহূর্তে যা অনুভূতি হয়েছিল, পারলে আমি ডুকরে কেঁদে উঠতাম। পল্লী কবি জসীম উদ্দীন, যার কত কবিতা আমি ছোটবেলা থেকে আবেগ-অনুরাগ দিয়ে মুখস্থ করেছি, তাঁর এমন চোয়াড়ের মতো চেহারা! এটা কেমন করে হয়! আমি কল্পনা করেছিলাম কত সুন্দর কমনীয় চেহারার অধিকারী হবেন কবি জসীম উদ্দীন। তাঁর চেহারায় থাকবে সুন্দর আভা, চোখে থাকবে দীপ্তি। অথচ এ কাঠখোট্টা ভদ্রলোক দাবি করছেন তিনি স্বয়ং কবি জসীম উদ্দীন। আমি প্রচণ্ড খেপে গিয়েছিলাম। এই রাগ-উত্তেজনা দমন করার জন্য কিছু একটা করা প্রয়োজন। ভাবলাম, কালির বোতলটা ভদ্রলোকের গায়ের ওপর ঢেলে দেব, সেটা সম্ভব হয়নি। কারণ এত মোটাতাজা মানুষ, চড় দিয়ে বসলে আমার সারা শরীরে হজম করার শক্তিতে কুলাবে না। আমার রাগ এবং ক্ষোভ সপ্রমাণ করার জন্য বোতলের সব কালি নিচে ঢেলে দিয়েছিলাম। এভাবে পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। কবির মুখোমুখি এভাবে ফুঁসে ওঠার ক্ষমতা আছে এটা দেখে নারিন্দাপাড়ার অনেক ছেলে আমার ভক্ত হয়ে গিয়েছিল। তিনি খুব গম্ভীর স্বরে উচ্চারণ করেছিলেন, এখনও আমার মনে আছে, 'Beware of his angry eyes, he will burn not only himself, but many people also'.
কবির সঙ্গে প্রাথমিক পরিচয়ের কথা তো বললাম। এরপর কিছু ঘটনার কথা বলি। সে সময়ে আমরা তরুণ লেখকেরা সবাই মিলে বাংলাবাজারে ভিড় করতাম। কবি সাহেবও একদিন অন্তর বাংলাবাজার যেতেন। দোকানদারদের বই সরবরাহ করতেন এবং আগের চালানের বইয়ের দাম বুঝে নিতেন। একটি মুটে কবি সাহেবের সঙ্গে সঙ্গে থাকত। তার মাথায় বইভর্তি ঝাঁকা। কবি সাহেব খুব কৃপণ ছিলেন, হাতের ফাঁক দিয়ে পানি গলত না। অনেক সময় নবাবপুর থেকে বাংলাবাজার সবটা পথ পায়ে হেঁটে যেতেন।
একদিন রথখোলার মোড়ে কবির সঙ্গে আমার দেখা। তিনি লম্বা লম্বা কদমে হেঁটে যাচ্ছেন। আমি সালাম দিলে তিনি থামলেন। হাতে একটি ভাপা পিঠে, মাঝে মাঝে কামড় বসাচ্ছেন। আমাকে বললেন, ‘তুমি কি বাংলাবাজার যাচ্ছো?’ আমি বললাম, ‘জ্বি’। তিনি দীর্ঘ গাছের কাণ্ডের মতো মোটা পা বাড়িয়ে কদম দিচ্ছিলেন এবং মাঝে মাঝে হাতের পিঠাতে কামড় বসাচ্ছিলেন। কোনো ভাবান্তর নেই। ধীরে ধীরে দিব্যি হেঁটে যাচ্ছেন। আমি দৌড়ে কূল পাচ্ছি না। তাঁর পেছনে পেছনে বাহাদুর শাহ পার্ক অবধি আসতে আমি ঘেমে ভিজে গেলাম। কবির একটি নতুন পরিচয় পেলাম, এই হলেন কবি জসীম উদ্দীন, আমি নতুনভাবে তাঁকে দেখতে আরম্ভ করলাম।
আরেকটি ঘটনার কথা বলি। কবির সঙ্গে এক ভদ্রলোকের বাড়িতে গিয়েছি বাড্ডার দিকে। ভদ্রলোক বলা ঠিক হবে কিনা ধান্ধায় পড়েছি। যার বাড়িতে গিয়েছি তিনি বয়াতি ধরনের লোক, মাথায় বাবরি। কবিকে পা ধরে সালাম করলেন এবং বিরাট একটা মগে করে জ্বাল দেয়া খেজুরের রস এনে দিলেন। কবি মুড়ির সঙ্গে মিশিয়ে প্রায় এক কেজি খেজুরের রস নির্বিবাদে উদরে চালান করে দিলেন। কবি সাহেব বললেন, ‘তুমিও খাও।’ আমি অনেক চেষ্টা করেও দুই আউন্সের বেশি ওই বস্তু গলা দিয়ে নামাতে পারিনি। তাঁর সম্পর্কে আরও একটা নতুন ধারণা জন্মালো। ইনি হচ্ছেন কবি জসীম উদ্দীন, যাকে নিয়ে আমরা হাসিঠাট্টা করে থাকি অথবা তিনি হাঁটলে আমরা দৌড়ে কূল পাইনে। তাঁর খাওয়ার পরিমাণও তেমনি আমার বিস্ময়ের উদ্রেক করে।
তারপরের ব্যাপারটিতে আসি। এক সময় আইয়ুব খান সাহেবের তথ্য এবং বেতার মন্ত্রী খাজা শাহাবুদ্দিন রেডিও-টিভিতে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্প্রচার বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। প্রতিবাদস্বরূপ বাংলাদেশের নামকরা লেখকদের রচনা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের ওপর একটি বড় বই বের করবো স্থির করেছিলাম। আমাদের শিক্ষক প্রফেসর ডক্টর আনিসুজ্জামান বইটি সম্পাদনা করবেন স্থির হয়েছিল এবং নামকরা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান স্টুডেন্ট ওয়েজের বইটি ছাপার কথা। আনিস স্যার আমাকে বললেন, ‘তুমি কমলাপুর গিয়ে কবি জসীম উদ্দীন সাহেবের কাছ থেকে একটি লেখা নিয়ে এস।’ সে সময়ে আমরা ভালো কাজে কষ্ট করতে ভয় পেতাম না। সে সময়টি অন্যরকম ছিল। আমরা খদ্দেরের পায়জামা, পাঞ্জাবি, চাদর পরতে পেলে গর্ববোধ করতাম। অধিকাংশ সময় স্পঞ্জের চপ্পল পরে ঘুরে বেড়াতাম। নীলক্ষেত থেকে দু’আনা-তিনআনা খরচ করলে বাসে চড়ে কমলাপুর পর্যন্ত যাওয়া যেত। কিন্তু সে তিনআনা পয়সা আমাদের জুটতো না। তাই সবটা পথ হেঁটে কমলাপুরে কবি সাহেবের বাসায় হাজির হয়েছিলাম। কবি সাহেবের বাড়িটার নাম পলাশবাড়ি। লোকে রসিকতা করে বলত, কবি সাহেব নিজে নিজের বাড়ির রাস্তাটির নাম কবি জসীম উদ্দীন রোড রেখেছিলেন। সারা রাস্তায় একটা সেলুন ছাড়া কোনো দোকানপাট ছিল না। সেলুনটির নাম ভুলে গেছি। সাইনবোর্ডের নিচের দিকে লেখা ছিল কবি জসীমউদ্দীন রোড।
আমি যখন কবির বাড়িতে হাজির হলাম, তখন দুপুরবেলা। আকাশে প্রচণ্ড রোদ। কবি সাহেব তাঁর এক নাতিকে নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমার দুটো পা ধুলোতে ভরে গেছে। কবি সাহেব আ-হা-হা করে উঠলেন, ‘তুমি অনেক কষ্ট করে এসেছো, একটু জলপান খাও।’ আমার ক্ষুধা ছিল, তৃষ্ণাও ছিল। জলপান খাওয়ার কথায় দুটোই জেগে উঠলো। কবি সাহেব নিজে বাড়ির ভেতর গিয়ে মাত্র দুটো নাইস বিস্কুট এবং এক গ্লাস পানি দিয়ে বললেন, ‘খেয়ে একটু ঠাণ্ডা হও।’ ঠাণ্ডা হব কি? আমার মাথায় রক্ত বয়ে গেল। আমার ধারণা ছিল, কবি সাহেব চিঁড়া দেবেন, দই দেবেন, তাতে নারিকেল থাকবে এবং অন্তত দুটো পাকা কলা নির্ঘাত পাওয়া যাবে। জলপানের আকার-প্রকার দেখে আমার ইচ্ছা হলো গ্লাসটা ছুঁড়ে ফেলে দিই। কিন্তু পারলাম না। যে ফুটফুটে বাচ্চাটি বিস্কুট দুটো ছোট হাত দিয়ে আমার দিকে বাড়িয়ে ধরেছে তাকে কষ্ট দিতে পারলাম না। সুতরাং কবির আনা জলপান ভক্ষণ করলাম। শরীরের রাগটি তখনও নামেনি। কিছু একটা করা প্রয়োজন। কবি সাহেবকে তো আর তাঁর বাড়িতে গিয়ে গালমন্দ করা যায় না? আমি তাঁর দিকে না তাকিয়ে বাগানে ঢুকে বললাম, ‘কবি সাহেব, জলপান তো করলাম এখন আপনার বাগান থেকে কিছু ফুল নেই?’ তিনি ফুল নেয়ার কথা শুনে আমার দিকে বড় বড় চোখ পাকিয়ে বললেন, ‘আমরা ফুলকে পূজা করি ছিঁড়িনে।’ আমি বললাম, ‘কবি সাহেব, ফুলের ব্যাপারে আমার একটা আলাদা থিওরি আছে। আমরা গাছ লাগাই, জল দেই, সার দেই, ফুলের বাবার সাধ্য নেই যে না ফুটে।’ এ কথা বলে আমি একটা করে বাগানের সব কটা ফুল ছিঁড়ে চাদরে ভরে নিয়েছিলাম। কবি সাহেব অবাক-বিহ্বল দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। কোনো কথা বললেন না। আমি যখন ফুল নিয়ে চলে আসছি, তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখি সারা চোখ পানিতে ভরে গেছে। আরও একটা নতুন পরিচয় পেলাম। ইনি হলেন কবি জসীম উদ্দীন। ফুলের শোকে যিনি শিশুর মতো কাঁদতে পারেন। তাঁর কাব্য লোকে ভালোবাসবে না কেন?

বালিয়া মসজিদ জ্বীনের মসজিদ  স্থানীয়ভাবে এবং লোকমুখে জ্বীনের মসজিদ নামে পরিচিত এ মসজিদটির প্রকৃত নাম ‘বালিয়া মসজিদ’। জমিদার মেহের বকস চৌধুরী ...