17 February 2012

বাংলা বানান

একবার এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাভাষার প্রাচীনতম আদিকালের পাতি কবি গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাস।তখন বাংলাভাষায় প্রাথমিক অবস্থা ছিল।
উপস্থাপকঃ আচ্ছা আদিকালের পাতি কবি গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাস আপনি তো বাংলাভাষায় স্বরবর্ণ আবিস্কারের আগেই কবিতা লিখেছেন তাইনা?
গুরুকবিঃ আজ্ঞে হ্যা।

উপস্থাপকঃযখন বাংলাভাষায় স্বরবর্ণ আবিস্কার হয়নি তখন কিভাবে কবিতা পড়তেন?

গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাসঃ
পখ সব কর রব রত্র পহইল কনন কসম কল সকল ফটল

উপস্থাপকঃ যখন আ-কার আবিস্কার হইল তখন কিভাবে কবিতা পড়তেন?
গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাসঃ
পাখা সাবা কারা রাবা রাত্রা পাহাইলা কানানা কাসামা কালা সাকালা ফাটালা

উপস্থাপকঃ যখন ই-কার আবিস্কার হইল তখন?’
গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাসঃ
পিখি সিবি কিরি রিবি রিত্রি পিহিলি কিনিনি কিসিমি কিলি সিকিলি ফুটিলি

উপস্থাপকঃআর যখন উ-কার আবিস্কার হইল তখন?
গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাসঃ
পুখু সুবু কুরু রুবু রুত্রু পুহুলু কুনুনু কুসুমু কুলু সুকুলু ফুটুলু

উপস্থাপকঃ যখন এ-কার আবিস্কার হইল তখন কিভাবে পড়তেন?
গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাসঃ
পেখে সেবে কেরে রেবে রেত্রে পেহেলে কেনেনে কেসেমে কেলে সেকেলে ফেটেলে।

উপস্থাপকঃযখন সবগুলো স্বরবর্ণ আবিস্কার হল তখন কিভাবে পড়লেন??
গুরুকবি কবীন্দ্রহালিদাসঃ
“পাখি সব করে রব, রাত্রি পোহাইল কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল।“

No comments:

Post a Comment

বালিয়া মসজিদ জ্বীনের মসজিদ  স্থানীয়ভাবে এবং লোকমুখে জ্বীনের মসজিদ নামে পরিচিত এ মসজিদটির প্রকৃত নাম ‘বালিয়া মসজিদ’। জমিদার মেহের বকস চৌধুরী ...