সব বিয়েই সুখের। পরবর্তী সময়ে একসঙ্গে থাকতে গিয়েই যত ঝামেলা শুরু হয়।
অফিস থেকে বাড়ি ফিরে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে ভাতটা দাও, খেয়ে নিই।’
স্ত্রী ভাত বেড়ে দিল। ভাত খেয়ে স্বামী ড্রয়িংরুমের সোফায় বসতে বসতে বলল, ‘শুরু করার আগে এক গ্লাস পানি দাও…বড্ড তেষ্টা পেয়েছে।’
স্ত্রী পানি দিয়ে গেল।পানি খেতে খেতে স্বামী বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। তারপর বলল, ‘শুরু করার আগে এক কাপ চা দাও না আমাকে।’
এইবার স্ত্রী গেল খেপে, ‘অ্যাই, পেয়েছ কী তুমি আমাকে, আমি তোমার চাকর?
অফিস থেকে ফিরে একটার পর একটা খালি অর্ডার মেরেই যাচ্ছ…নির্লজ্জ, অসভ্য,
ছোটলোক, স্বার্থপর…’
স্বামী কানে তুলা গুঁজতে গুঁজতে বলে, ‘এই যে…শুরু হয়ে গেল।’
৩৫-এর পর আমার কি আর বাচ্চা নেওয়া ঠিক হবে?
—না। ৩৫টা বাচ্চাই যথেষ্ট।
বাচ্চা ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা জানার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো তার জন্ম পর্যন্ত অপেক্ষা করা।
মানুষ যতদিনে বুঝতে পারে যে তার বাবা ঠিক কথাই বলত, ততদিনে তার ছেলে বড় হয়ে তার ভুল ধরতে শুরু করে।
আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, ‘স্বামী হলো ওয়াইনের মতো, যত পুরোনো ততই ভালো।’ পরদিন সে আমাকে সেলারে আটকে রাখল।
যদি বলো আকাশে চার বিলিয়ন তারা আছে, তাহলে না গুনেই সবাই সেটা বিশ্বাস করবে। কিন্তু যদি বলা হয়, মাত্র রং করেছি, চেয়ারের রংটা এখনো শুকায়নি, তাহলে সবাই হাত দিয়ে দেখবে।
শিক্ষক : দ্বীপ কাকে বলে?
ছাত্র : দ্বীপ হলো কোনো ভূ-খণ্ড, যার একপাশ ছাড়া আর সব পাশেই জল দিয়ে ঘেরা।
শিক্ষক : তা দ্বীপের কোন পাশটা জল দিয়ে ঘেরা থাকে না?
ছাত্র : কেন, উপরের দিকটা!
শিক্ষক তাঁর প্রিয় ক্লাস থ্রির ছাত্রকে বলছেন:
তোমার বাবা তোমাকে দুইটা খরগোশ দিল,তোমার মা তোমাকে দুইটা খরগোশ দিল তাহলে তোমার মোট কয়টা খরগোশ হবে।
ছাত্র বললো-- স্যার পাঁচটা।
শিক্ষক বললেন--একটু হিসাব করে বলো,
ছাত্র বললো-- স্যার হিসাব করেই বললাম ৫ টা।
এবার স্যার বললেন-- মনে করো তোমার বাবা তোমাকে দুইটা কলা দিলেন, আর তোমার মা তোমাকে দুইটা কলা দিলেন, তোমার মোট কয়টা কলা হবে?
ছাত্র------চারটা কলা হবে। শিক্ষক এবার খুব খুশী হয়ে-- এইতো তুমি বুঝতে পারছো।
তাইলে এবার ভালো করে হিসাব করে বলোতো, তোমার বাবা তোমাকে দুইটা খরগোশ
দিলেন, আর তোমার মা তোমাকে দুইটা খরগোশ দিলেন,তাহলে মোট কয়টা খরগোশ হবে/
ছাত্র বললো--স্যার পাঁচটা।
স্যারের মেজাজ এবার অত্যধিক খারাপ, কন্চি হাতে নিয়া এবার বললেন, ক্যামনে তোর পাঁচটা খরগোশ হয় বুঝাইয়া ক।
ছাত্র কেলকেলাইয়া হাসিয়া কয়,
স্যার আমার বাবায় যদি দুইটা আর মা য়ে যদি দেন দুইটা আর আমার আগের আছে একটা তাহলে মোট পাঁচটা না হইয়া কয়টা হয়? এতো হিসাবে কি আছে?
প্রথম বন্ধু : তুই তো এমন ভাব নিস, যেন সবই জানিস। তাহলে বল তো দেখি, সাপের সবচেয়ে প্রিয় বিষয় কোনটা?
দ্বিতীয় বন্ধু : কেন, হিসসসস্-ট্রি!
বহুদিন ধরে ছেলে আর মেয়েটি দেখা করছে। সম্পর্ক বেশ অন্তরঙ্গ পর্যায়ে
পৌঁছেছে। কিন্তু ছেলেটি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেই না। শেষ পর্যন্ত মেয়েটি
বলল, তোমার কি মনে হয় না, আমাদের বিয়ে করার সময় হয়েছে?
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ছেলেটি বলল, এত কিছুর পর আমাদের কে আর বিয়ে করবে, বলো?
তিনবন্ধু গেছে মরুভূমিতে ঘুরতে। সেইখান ঘুরতে ঘুরতে দেখে একজন লোক মরমর।
তাকে বাচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারে নাই।
লোকটা তাদের হাতে মারা গেল। তবে মারা যাবার আগেই তাদের বলল, তোমরা আমাকে
বাচানোর অনেক চেষ্টা করছ। তোমাদের উপর খুশী হয়ে আমি খোদার কাছে প্রার্থনা
করলাম। হে খোদা তুমি এদের
একটা করে ইচ্ছা পুরন করো। তারপর তাদের বলল তোমরা কোনো একটা উচু জায়গায় উঠবা।এরপর চোখ বন্ধ করে দিবা লাফ। লাফ দেয়ার সময় চিৎকার করে বলবা তোমরা কি চাও। খোদা তোমাদের সেটা দিবে।
কয়েকদিন পর তিনজন গেছে সুইমিং পুলে। উচু বোর্ডে উঠছে লাফ দিবে। একজনের মনে
পড়ল দোয়ার কথা। লাফ দেবার সময় সে চিৎকার করে বলল- টাকা। সাথে সাথে সে
শুন্যে মিলিয়ে গেলো আর গিয়ে পড়ল টাকা ভর্তি একটা সুইমিং পুলে। দ্বিতীয়জন
লাফ দেবার সময় চিৎকার করে বলল-সেক্স। সে গিয়ে পড়ল সুইমিং পুল ভর্তি মেয়ের
মাঝে। তৃতীয় জন বোর্ডে উঠে ভাবছে কি চাইবে কি চাইবে। সে দৌড় দিল।লাফ দেয়ার
আগ মুহুর্তে তার প্যান্ট রেলিং এ আটকিয়ে গেছে।
আর সে চিৎকার করে বলে উঠল- oh shit
এক নিভৃত কক্ষে প্রেমিক প্রেমিকা। প্রেমিকা তনুশ্রী স্টাইলে জামাকাপড় সব খুলে, বিহ্বল কন্ঠে,
: আমার যা কিছু আছে সব তোমার।
প্রেমিক দারুন অবাক হয়ে,
: তোমার কি মাথা খারাপ? এই সালোয়ার-কামিজ দিয়ে আমি কি করব? আমি পুরুষমানুষ না?
আমেরিকার এক প্রেমিক তার প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ করলো। সময়
মত মধ্যরাত্রিতে সে মই বেয়ে প্রেমিকার জানালা পর্যন্ত উঠলো। জানালার কাঁচে
টোকা দিল প্রেমিক।
মেয়েটি ভয়ে ভয়ে জানালা খুললো। ছেলেটি জিজ্ঞেস করল, "তুমি তৈরী?" মেয়েটি বলল, হুশশশ! আমার ভয় করছে, বাবা যদি আমাদের ধরে ফেলেন।
ছেলেটি নির্বিকার ভাবে বলল, তাতে কি? তিনিতো নিচে আমার মই ধরে দাঁড়িয়ে আছেন।
এক শহরে পরকীয়ার খুব চল। কমবেশী সবাই করছে। এরাই আবার চার্চে গিয়ে ফাদারের
কাছে কনফেশন করে তারা কি করেছে। বৃদ্ধ ফাদার এইসব শুনতে শুনতে ক্লান্ত। এক
রবিবারে তিনি সবাইকে বললেন আর কেউ যদি আমার কাছে পরকীয়ার কথা স্বীকার করে
তবে এই শহর আমি ছাড়ছি। শহরের লোকজন আবার ফাদারকে খুবই পছন্দ করে। এরা ভাবল
পরকীয়ার নতুন কোন শব্দ বা কোড ব্যবহার করতে হবে। শহরবাসী এরপর থেকে পরকীয়ার
জন্য ব্যবহার করতে লাগল "আছাড়"।
" ফাদার! আমি আছাড় খাইছি এই সপ্তাহে......"
নতুন পদ্ধতি খুব ভালো কাজ করে। ফাদার কিছুই টের পাননা। একদিন বৃদ্ধ ফাদার
মারা যান। তার জায়গায় নতুন আর অল্পবয়স্ক একজন ফাদার আসে। সে ত আছাড় খাওয়ার
কথা শুনতে শুনতে অবাক। সে গেলো শহরের মেয়রের কাছে।
" মেয়র! আমাদের শহরের রাস্তাগুলো ঠিক করা দরকার। লোকজন প্রচুর আছাড় খাচ্ছে"
মেয়র বুঝলেন বেচারাকে কেউ আছাড়ের মানে বুঝিয়ে দেয় নাই। আর বেকুব ফাদারটা চলে এসেছে সরাসরি তার কাছে। তার হাসি চলে আসল।
ঠিক এমন সময় ফাদার বললেন, "আমি বুঝি না কেনো আপনি হাসছেন??? আপনার বউই ত এই সপ্তাহে তিনবার আছাড় খাইছে"
ছোট ফার্ম, বিশটার মত মুরগী আর একটা মাত্র মোরগ। মোরগটা বুড়িয়ে যাওয়াতে
মালিক নতুন একটা মোরগ এনেছেন। নতুনজন খুবই তেজী। বুড়াকে তো পাত্তাই দেয় না।
সবগুলো মুরগী তার চাই।
বুরো মোরগ একবার বলেছিল, অন্তত পাঁচটা আমাকে দাও, সে রাজি হয়নি। বলেছে সব ক"টা আমার।
পরদিন বুড়োটা জোয়ানটাকে গিয়ে বলল, ঠিক আছে, হয়ে যাক একটা পরীক্ষা। তুমি জিতলে সবগুলো তোমার।
কি পরীক্ষা?
তোমার সাথে আমার দৌড় প্রতিযোগিতা হবে। তবে, আমি একট ু বয়স্ক, একটু সুযোগ তো আমাকে দিতেই হবে।
কি সুযোগ?
আমি তোমার দশফুট সামনে থেকে শুরু করবো।
নো প্রবলেম। দশফুট এমন আর কি? জোয়ান মোরগ, ইয়াং কক, রাজি হয়ে গেল।
নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হল দৌড়। বুড়ো দশফুট সামনে, নতুন মোরগ পেছনে দৌড়াচ্ছে। প্রাণপণ দৌড়।
প্রায় যখন জোয়ানটা বুড়োটাকে ধরে ফেলেছে, তখনই একটা গুলির শব্দ শোনা গেল।
ফার্মের মালিকের বিরক্তিও শোনা গেল, " শিট্ ! আরও একটা গে মোরগ! শালার
মোরগগুলার হইছে কি? খালি বুড়াটারেই ধাওয়ায়?"
এক মিসনারি স্কুলে কিছু বাচ্চা টিফিন নেবার জন্য লাইনয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আপেলের পাত্রে মিস একটা ট্যাগ লাগিয়ে দিলেন "সবাই একটা করে আপেল নেবে, বেশি নেবার চেষ্টা করবে না, কারণ ইশ্বর দেখছেন।"
এটা দেখে এক বাচ্চা চকলেটের পাত্রে ট্যাগ লিখল- "যত খুশি নাও কারণ ইশ্বর আপেল পাহারা দিচ্ছেন।"
এক বাচ্চা মেয়ে একদিন বারান্দায় বসে বসে তার মায়ের থালা বাসন ধোয়া দেখছিল
হঠাত সে দেখল তার মায়ের মাথায় কিছু চুল সাদা।
-মা, তোমার মাথায় কিছু চুল সাদা কেন?
-তুমি যখন একটা খারাপ কাজ কর তখন আমি অনেক রেগে যাই, আমার কান্না পায় আর একটা চুল সাদা হয়ে যায়।
-আচ্ছা মা তাহলে নানির মাথার সব চুল সাদা কেন?
স্কুলে এক অনুষ্ঠানে ক্লাস টু এর সব ছাত্রছাত্রীর একটা গ্রুপ ছবি তোলা হল, মিস সবাই কে অনুরোধ করছেন একটা করে ছবি নেবার জন্য।
-তোমরা সবাই যখন অনেক বড় হয়ে যাবে তখন ছবি দেখে বলবে, ঐ যে আমার বন্ধু মোনা, একসাথে কত মারা মারি করেছি, ও এখন ডাক্তার। ঐ যে আশিক, ও ইঞ্জিনিয়ার............
সাথে সাথে এক পিচ্চি বলে উঠলো , আর ঐ আমাদের মিস, উনি মরে গেছেন।
একটা ছেলে গভীর রাতে একা একা টিভিতে কি যেন দেখছিল। হঠাৎ ছেলেটির দাদু ঐ ঘরে প্রবেশ করল..............................................................
ছেলেটি ফ্যাশন টিভি দেখছিল।
দাদু একটু দেখার পর নাতি কে প্রশ্ন করল,
ঐ মেয়ে গুলা এত কম কাপড় পরছে কেন রে ?
নাতি উত্তর দিল,
দাদু, ওরা খুব গরীব তো তাই
দাদু বলল,
এর চেয়ে গরীব কেউ আসলে আমারে ডাক দিস তো !
একদিন উপবন ট্রেনে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ট্রেনটা রেললাইন ছেড়ে মাটিতে নেমে গেল। সাথে সাথে হুরোহুরি আর সব যাত্রীদের আতংকিত চিৎকার শুরু হয়েগেল। কিভাবে কিভাবে, কিছুক্ষন পর ট্রেনটা আবার রেললাইনে উঠে এল। সব যাত্রী মিলে হৈ চৈ করে ট্রেনটা থামিয়ে বেচারা ট্রেন ড্রাইভারকে কলার ধারে নিচে নামিয়ে নিয়ে এল। তাদের জিজ্ঞাসা, ট্রেন কেন লাইন ছেড়ে মাটিতে যাবে, তুই তাহলে কি করিস? বেচারা ড্রাইভার বল্ল কি করব ভাই, একজন লোক হঠাৎ লাইনের উপর এসে পরল... । এই বলা মাত্র লোকজন এই মারে তো সেই মারে। বলে, আরে হারামজাদা, এতগুলো যাত্রীর জীবনের চেয়ে একজন বোকা লোকের জীবন তোর কাছে বড় হলো? এত গুলো মানুষের রিস্ক তুই কেন নিলি? তুই ওর উপরদিয়ে গাড়িতুলে দিলিনা কেন? .... তখন ড্রাইভার বলে, আমি তো তাই করতে চাইছিলাম, কিন্তু লোকটা হঠাৎ মাঠের দিকে দৌড় দিল.....।
এক গৃহকর্মী তার মালিক গৃহকত্রীর কাছে বায়না ধরেছে তার বেতন বাড়াতে হবে।
গৃহকত্রীঃ তোমার বেতন বাড়ানো হয়েছে ছয় মাসও হয় নি। এখনি আবার বেতন বাড়ানোর আবদার কেন?
গৃহকর্মীঃ এই সময়ের মধ্যে আমি তিনটি সার্টিফিকেট পেয়েছি...।তাই বেতন বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছি।
গৃহকত্রীঃ কি কি সার্টিফিকেট?
গৃহকর্মীঃ আমি আপনার চেয়ে ভাল কাপড় আয়রন করতে পারি।
গৃহকত্রীঃ কে দিয়েছে এই সার্টিফিকেট?
গৃহকর্মীঃ জ্বী, স্যার মানে... আপনার স্বামী......
গৃহকর্মীঃ হুম, আর কি সার্টিফিকেট পেয়েছো......
গৃহকর্মীঃ আমি আপনার চেয়ে ভাল রান্না করতে পারি...
গৃহকত্রীঃ কে বলেছে তুমি আমার চেয়ে ভাল রান্না কর? (বেশ রাগত স্বরে...)
গৃহকর্মীঃ জ্বী, আপনার স্বামী বলেছেন...
গৃহকত্রীঃ আচ্ছা ঠিক আছে, হতে পারে তুমি আমার চেয়ে ভাল রান্না কর......আমি কি চাকরানী নাকি যে ভাল রান্না জানতে হবে? বলো আরেকটি কি সার্টিফিকেট পেয়েছ?
গৃহকর্মীঃ আমি আপনার চেয়ে বিছানায় ভাল পারফর্ম করতে পারি।
কত্রী তো এবার রেগে আগুন। আমার স্বামী বলেছে এই কথা?? ওর সাথে তোমার তাহলে এইসবও হয়??
গৃহকর্মীঃ জ্বী না, আপনার স্বামী বলেনি......বলেছে আপনার গাড়ির ড্রাইভার!
গৃহকত্রীঃ (কত্রী এবার চুপ...জোঁকের মুখে লবন পড়েছে) ঠিক আছে তোমার বেতন বাড়ায়ে দেয়া হবে...এসব নিয়ে কথা বলার দরকার নাই।