1 July 2011

নরকের প্রচ্ছদ

নরকের প্রচ্ছদ
নাজমুল হুদা

১)
একমেরুকেন্দ্রিক ক্ষমতায়নের প্রভাবে সারাবিশ্বই এখন কার্যত কর্পোরেট বাণিজ্যের পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্রের অন্ধ সমর্থক ও ভক্ত। বলাই বাহুল্য, এ সমর্থনের পেছনে দুই ধরনের লাভ রয়েছে; প্রথমটি হলো অঢেল অর্থ ও সামরিক সহায়তা প্রাপ্তি; এবং দ্বিতীয়টি হলো কম্পিত বিশ্বে ক্ষমতা প্রদর্শনের মহানন্দ উপভোগকরণ। দুঃখ হয় এ কথা বলতে যে আধুনিক মানবতাবাদী গণতন্ত্রের প্রধান ধারক ও প্রচারকের নামটি যুক্তরাষ্ট্র- যে দেশটিকে আমরা সকল অবস্থায় অন্ধভাবে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছি যাবো। বিনিময়ে এ রাষ্ট্রটি আমাদের দেবে আশীর্বাদ দৃষ্টি ও শক্তিশালী হাতের বন্ধুত্ব। কিন্তু, মানবতাবাদের প্রধান এ গায়কটি হঠাৎ কি হারিয়ে ফেললো মানবতাবাদ চিহ্নিতকরণের প্রয়োজনীয় দৃষ্টিশক্তি? গণতন্ত্রের োগান গলায় ধরে কি ভুলে গেলো মানবিকতা পিষ্ট হওয়ার বিরুদ্ধে তার সোচ্চার অবস্থান? তবে, কেনো রাষ্ট্রটি তার প্রধান বন্ধুবৎসল রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে ঘটে চলা অমানবিক বিভীষিকার বিরুদ্ধে নিখিল নীরব? তারা কি দেখছে না নিষ্পাপ আর নিরীহ মানুষকে তাদের উপস্থিতির আশেপাশেই কী নিস্পৃহ, নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হচ্ছে?
তারা তো নিজেরাই এ ব্যাপারে সক্রিয় ও সিদ্ধহস্ত! কিন্তু তাদের হত্যার পেছনে রয়েছে হয় পাশবিকতা, নয় আতঙ্ক। প্রাণ বাঁচাতে এবং আত্মঘাতি হামলাকারী হতে বাঁচতে তারা নিরীহ মানুষ হত্যা করে। এটি সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু, শক্তিশালী এ রাষ্ট্রটির প্রধান মিত্র কীভাবে ও কেন তা করে? আর তারা কী করে এ সমর্থন করে? যুক্তরাষ্ট্র কি মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রগুলোতে গণতন্ত্রের দাবিতে মানবতা নিষ্পেষিত ও অধিকার পদানত হচ্ছে বলে চিৎকার করছে না? শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম চতুর মানবিক প্রেসিডেন্ট কি বিশাল অঙ্কের তহবিল যোগাচ্ছে না এখানকার মানুষকে মানবতা আদায়ের দাবিতে? নাকি রাষ্ট্রটি একটি ও একেকটি পুতুল সরকার বসিয়ে নিজেদের তেলের চাহিদা মেটাতে চায়? তারা তো তা ইতোমধ্যে পাচ্ছেই। তবে?
মানবতা হত হবার গন্ধ হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ওয়াশিংটনে অবস্থিত হোয়াইট হাউজে ঘুমন্ত প্রেসিডেন্টের নাকে সুড়সুড়ি দিলে পুরো আমেরিকাবাসীর ঘুম হারাম হয়ে যায়! বিরক্ত প্রেসিডেন্ট পেন্টাগনের কর্তাদের নির্দেশ দেন পৃথিবীর সকল উন্নততম, অদৃষ্টপূর্ব সমরাস্ত্র ও স্যাটেলাইট ব্যবহার করে পৃথিবীর প্রতিটি দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান বিন্দু সন্ত্রাসমুক্ত করা হোক। শান্তির আশ্বাসে ও ভয়ে আমরা বলি, চমৎকার প্রেসিডেন্ট! আমরা আমাদের ভূমি ও মানুষদের দিতে প্রস্তুত। আপনারা আসুন। আমাদের প্রতি আপনাদের কৃপা দৃষ্টি ভিক্ষা দিন।
আমরা মানে সারা বিশ্বের প্রায় সকল মানুষ। না বলে উপায় কী? সমর্থন না করবার অর্থ সন্ত্রাসবাদীদের সহচরদের তালিকায় পড়া! তারা আসে। তারা গান গায়! সাম্য ও মানবিকতার গান। পরিবর্তিত বিশ্বের আশ্বাস পেয়ে আমরা মুগ্ধ; আমরা করতালি দিতে থাকি। আমরা োগানদাতাকে নোবেলও দেই। নোবেল তো আসলে আমাদের নয়; তাঁদের। তাঁদের পুরস্কার তাঁরাই নেয়। এবং তাঁরাই বলে ‘মানবতা ও গণতন্ত্র’।
মুসলিম বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ একটি দেশ ছিলো আফগানিস্তান। ইরাক ছিলো প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি। সন্ত্রাসবাদের কারণে মানবতা উদ্ধার করতে গিয়ে আমাদের প্রধান প্রভু ও বন্ধু যুক্তরাষ্ট্র দুটি সন্ত্রাসকবলিত ও স্বৈরাচার পীড়িত রাষ্ট্রকেই জীর্ণশীর্ণ গোরস্থানে রূপান্তরিত করেছে।
আফগানিস্তানে নিরবচ্ছিন্ন হামলায় ও পরাস্তকরণে পাকিস্তান দিয়েছে সর্বাত্মক সহায়তা। কিন্তু তাতে আমেরিকা জয়ী হতে পারলো না!
পারলো না কেন? পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের দ্বিমুখী নীতি ও ভয়ঙ্কর বাণিজ্য স্বয়ং পৃথিবীর সব থেকে শক্তিশালী রাষ্ট্রটিকে পরাজিত হতে বাধ্য করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাপুষ্ট হয়েও আইএসআইয়ের কর্তাগণ পুষে গেছেন নিয়মিত আল কায়েদাসহ অন্যান্য বাহিনী যারা যুক্তরাষ্ট্রের শিকার। আইএসআইয়ের প্রত্যক্ষ মদদ ও সহায়তার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিজয় প্রলম্বিত হতে হতে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে বসেছে। যুক্তরাষ্ট্র কার্যত হারলো আইএসআই তথা পাকিস্তানের কাছে। ফলে তাদের এখন আল কায়েদার সাথে যুদ্ধবিরোধী শান্তিচুক্তি করতে হচ্ছে। সম্পূর্ণ গেমটি দুই হাতে খেলেছে এক পাকিস্তান। পাকিস্তান সরকারের এতে করার কিছু নেই, ছিলো না, থাকবে না। এ মহাশ্চর্য দেশটির সরকার তো একটি পুতুল যারা সারাক্ষণ তাদের গোয়েন্দা সংস্থা আর বহুধাবিভক্ত, ক্ষমতালোভী সেনা কর্মকর্তাদের দয়ার ওপর নির্ভরশীল। পাকিস্তান পৃথিবীর একমাত্র রাষ্ট্র যেখানে মুসলমান মুসলমানকে হত্যা করে, মসজিদে বোমাবাজি ও রক্তের হোলি খেলে, ভূমিপ্রধান সামন্ততান্ত্রিক প্রভুত্বের মুখোশ পরে মিথ্যে অহমিকার গৌরব করে। না, আমাদের খারাপ লাগবার কথা নয়। একাত্তরে আমাদের সাথে তারা যা করেছে, তা আরো কয়েক শতাব্দী ব্যাপী তাদের প্রতি আমাদের ঘৃণার কারণ হওয়া উচিত। তবু তাদের বুদ্ধির জাহাজ আর অহমিকাপূর্ণ পণ্ডিতদের অন্ধত্বের অবসান হয় না। তারা এখনো তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে তাকায় আমাদের দিকে!
পাকিস্তানের নতুন প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি বেশ উদার। তারা যথেষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ বলেই মনে হয়। তবে মৌলবাদ, অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস, জাতিগত বিভেদ, অন্ধ অহমিকা, ক্ষমতালিপ্সা এখনো দেশটিকে আফ্রিকা মহাদেশের মতো অন্ধকার করে রেখেছে। এখন এখানে প্রেতের উচ্চকিত চিৎকার ছাড়া কিছুই শোনা যায় না।
২)
বরাবরই মানবতা-লাঞ্ছিত দেশটি- পাকিস্তান। মুক্তার মাইয়ের ওপর নেমে আসা পৈশাচিক অত্যাচার দেশটিতে চলমান নোংরামি বিশ্বের নজরে আনায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কিছুটা লজ্জাবোধ করেছিলেন। আন্তর্জাতিক বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে, সে ঘটনাটিতে মানবতা হরণের বিচার হয়েছিলো। সময় বদলায়, নোংরামি বদলায় না!
লাহোরে দুই যুবককে বিনা কারণে হত্যা করে পাকিস্তান সরকার মোটা অংকের ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলো। আশা করা হয়েছিলো, এমনটি আর ঘটবে না। কিন্তু, তাঁরা কথা রাখে নি।
দরিদ্র পরিবারের নিরীহ তরুণ সরফরাজ খানকে একটি পার্কের মধ্যে গুলি করে হত্যা করলো এর রেঞ্জাররা। কী আশ্চর্য! নিরীহ এক তরুণকে নির্মমভাবে নির্বিবাদে হত্যা করা হলো দিবালোকে! পার্কে উপস্থিত লোকজন গুলিতে আহত, আর্তনাদরত তরুণকে সহায়তা করতে পারলো না। হাসপাতালে নিতে পারলো না, পারলো না মুমূর্ষু ব্যক্তির মুখে একটু পানি তুলে দিতে! পারলো না; পারলো না কারণ সেখানে অস্ত্রধারী সেনা সদস্যরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এ তরুণের মৃত্যুদৃশ্য উপভোগ করছিলো আর উপস্থিত জনতাকে শাসাচ্ছিলো। তাদের রক্তচক্ষু খুনোন্মাতাল হয়ে উঠেছিলো। তাই কারো সাহস হয়নি মৃতপ্রায় সরফরাজ খানের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে।
মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বার সময়েও সরফরাজ খুনি সেনাদের অনুরোধ করেছে, ‘দয়া করুন, আল্লাহর দোহাই, আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান’। খুনিরা নেয় নি; কাউকে নিতেও দেয় নি। আল্লাহর দোহাই পেয়েও তাদের হৃদয়ে একটুও দয়ার উদ্রেক হয় নি। তারা তাঁকে গুলি করেছিলো এবং দাঁড়িয়েছিলো তাঁর মৃত্যুর জন্য। খুনিরা তাঁর মৃত্যু দেখে নিশ্চিন্ত মনে পরমানন্দে চলে গেলো। এই হলো কট্টর মুসলিম প্রধান একটি দেশের খুনে সেনা সদস্যদের আচরণের নমুনা। তারা সম্ভবত এখন আর আল্লাহ শব্দটির সাথে পরিচিত নয়।
সরফরাজ-হত্যার পূর্ণাঙ্গ দৃশ্যটি বেশ কাছে থেকেই ভিডিও ধারণ করেছিলেন এক সাংবাদিক। ভিডিও দেখেও সেনা কর্মকর্তাগণ তাদের কুকীর্তি স্বীকার করে নি; বলেনি ভুল হয়েছে। স্বয়ং সরকার তথা জারদারি গোষ্ঠী বলে নি একটা কথাও। ভয়ে, আতঙ্কে তারা নিজেরাই তো নিজেদের পালিত খুনে সেনাবাহিনীর দয়ার ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। ফলে তারা সেনা সদস্যদের দোষের ব্যাপারে অন্ধ ও নিস্তব্ধ।
এমন এক সময়ে এসব ঘটছে বধ্যভূমি পাকিস্তানে যখন সেখানে পৃথিবীর সব থেকে আধুনিক আর দুর্ধর্ষ সেনাবাহিনী উপস্থিত; যখন সেখানে আধুনিক মানবতাবাদের প্রধান ব্যাখ্যাকারী ও পৃষ্ঠপোষক দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা আততায়ী দলের স্বেচ্ছাচারিতা, খুন আর ক্ষমতালিপ্সার কাছে পুরো পাকিস্তান বন্দি। আত্মঘাতি এ দেশটি ক্রমান্বয়ে পরিণত হচ্ছে ভয়ানক বধ্যভূমিতে। ভয়ংকর এ নরকটি এখন বিশ্বের শান্তি বিনষ্টের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সার্কভুক্ত এ দেশটির আমরা উন্নয়ন চাই, মুক্তি চাই, চাইতেই পারি, (একাত্তরে তাদের সকল কুকর্মের কথা মনে রেখেও), কারণ তারা সার্কের এবং দক্ষিণ এশিয়ার সদস্য। নয়তো তাদের আত্মঘাতি বিষের বাতাস আমাদের এখানেও লাগতে পারে। বিশ্বমানবতার প্রতি শান্তি সকলেই চায়।
৩)
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কুকীর্তি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ক্রমশ। মৌলবাদ লালন, সন্ত্রাসী গঠন ও পালন, কিলিং স্কোয়াড পরিচালনা এখন তাদের নিত্য চারিত আচরণ। তবে সেনাবাহিনীতে কিছু সদস্য এখনো ভালো রয়েছেন, ভালো থাকার চেষ্টা করছেন। নয়তো, ভালো মানুষের অভাবে এ বাহিনীটি ধ্বংস হয়ে যাবার কথা। ধ্বংস হয় নি। কিন্তু সক্রিয় কতিপয় চক্র আল কায়েদাসহ অন্যান্য বাহিনীর হাতে সামরিক সরঞ্জাম, সম্ভাব্য পরিচালিত মিশনের খবর, অর্থ-সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করছে। এমনটিই জানিয়েছিলো এক সাহসী, কর্তব্যপরায়ণ পাকিস্তানি সাংবাদিক সৈয়দ সেলিম শাহজাদ।
সেলিম বার বার বিভিন্ন তথ্যবহুল রিপোর্ট প্রকাশ করে বিশ্বকে জানান দিচ্ছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা সন্ত্রাসের পালকদের কথা, পোষকদের কথা। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরের নানা কেলেঙ্কারি, কেচ্ছা, কুকর্ম আর ধৃষ্টতার কথা ফাঁস করে দিচ্ছিলেন সেলিম। ফলে তিনি একই সাথে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছিলেন। আশঙ্কা হচ্ছিলো, তিনি জানতেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় তিনি প্রাণ হারাতে পারেন। কিন্তু, তাতেও পিছপা হন নি সত্য প্রকাশে। বিবেকের তাড়না কি বোধ করেছিলেন অকুতোভয় সেলিম? সেলিমকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় অপহরণের পর। তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ আমাদের ভেবে নিতে বাধ্য করছে কী পরিমাণ নির্যাতন তাঁর ওপর করা হয়েছে!
আল কায়েদা সমর্থক এবং ক্ষমতালিঞ্ঝু সেনা ও নৌ-কর্মকর্তাদের ধারাবাহিক নিষ্ঠুরতা, দাবাচাল ও হত্যাযজ্ঞে পাকিস্তান আজ পৃথিবীর সব থেকে ভয়াবহ বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। আত্মঘাতি খুনে রঞ্জিত হচ্ছে প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি এ দেশটি। মায়াকান্না নয়; বিশ্বশান্তির পক্ষে হুমকিতে পরিণত হওয়া দেশটির বহুমুখী চক্রান্ত বন্ধে উচ্ছৃঙ্খল আর নিষ্ঠুর একদল গুপ্ত সেনাআততায়ী চিহ্নিতকরণে ও দমনে পাকিস্তান সরকারকে বাধ্যকরণের সময় এসেছে। আর এ কাজটি সবথেকে ভালো করতে পারে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বে শান্তি ও মানবতা প্রতিষ্ঠা ও নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব যে তাদের হাতে ন্যস্ত!

No comments:

Post a Comment

বালিয়া মসজিদ জ্বীনের মসজিদ  স্থানীয়ভাবে এবং লোকমুখে জ্বীনের মসজিদ নামে পরিচিত এ মসজিদটির প্রকৃত নাম ‘বালিয়া মসজিদ’। জমিদার মেহের বকস চৌধুরী ...