এ বিষয়ে সৌদি সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া একটি বিবৃতি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে বলেও বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
যে আট বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তাঁরা হলেন—মামুন আবদুুল মান্নান, ফারুক জামাল, সুমন মিয়া, মোহাম্মদ সুমন, শফিক আল ইসলাম, মাসুদ শামসুল হক, আবু আল হোসাইন আহমেদ ও মতিউর আল রহমান। এই আট বাংলাদেশির বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় অপর তিন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও বেত্রাঘাতের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সৌদি সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালের এপ্রিলে সংঘটিত এক সশস্ত্র ডাকাতি এবং এ সময় এক মিসরীয় নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যার দায়ে ওই আট বাংলাদেশি নাগরিকের শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। নিহত নিরাপত্তা কর্মীর নাম সাঈদ মোহাম্মদ আবদুল খালেক।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দণ্ডিত ব্যক্তিরা একটি বৈদ্যুতিক গুদাম ঘরে ডাকাতি করছিলেন। তাঁরা সেখানেই শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ডাকাতির সময় সংঘর্ষে ওই মিসরীয় নিরাপত্তা কর্মী নিহত হন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলছে, চলতি বছর দেশটিতে ৪০ জনেরও বেশি ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জনই বিদেশি নাগরিক।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অভিযোগ করেছে, সৌদি আরবে বিচার ও দণ্ডদানের প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে না। সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবকে তাদের দেশে প্রচলিত বিচার ও দণ্ডদানের পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে। তারা বলছে, আদালতের বিচার ও দণ্ড প্রদান কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানসম্মত নয়।
Source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-10-08/news/192145
No comments:
Post a Comment