কিউ আর ইসলাম
তিস্তার পানির হিস্যা
তিস্তা নদীর উৎপত্তি ভারতের সিকিম রাজ্যের হিমালয় অঞ্চলে । সিকিম থেকে প্রবাহিত হয়ে পশ্চিম বাংলা রাজ্যের উত্তর প্রান্ত পার হয়ে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিশ অঞ্চলে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্রর সাথে মিলেছে। নদীটির দৈর্ঘ্য ৩ শত কিলোমিটারের উপরে। বেশীর ভাগ সিকিমে প্রবাহিত। সারা বছর পানি প্রবহমান থাকে। ভারত সরকার ২০০৮ সালে সিকিমে তিস্তা নদীর উপর জলবিদ্যুৎ তৈরীর জন্য ড্যাম তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে ড্যাম তৈরি সম্পন্ন হওয়ার কথা। তিস্তার এক-তৃতীয়াংশের বেশি প্রবাহিত হয়েছে বাংলাদেশে। তিস্তা নদী প্লাবিত অঞ্চল বা ধরতি এলাকার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ বাংলাদেশে।
বাংলাদেশে তিস্তা নদীর অববাহিকায় দেশের মোট শস্য উৎপাদিত ভূমির শতকরা ১৪ ভাগ বিস্তৃত এবং মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-দশমাংশের বসবাস। শস্য উৎপাদিত এলাকার দুই-তৃতীয়াংশ সেচাধীন যেখানে বছরে গড়পরতা ২ বার ফসল আবাদ হয়। বসবাসরত জনগোষ্ঠীর বেশীরভাগই প্রান্তিক বা ক্ষুদ্র কৃষক। তিস্তা নদীর অববাহিকাসহ সমগ্র উত্তর-পশ্চিশ অঞ্চল বেশ খরাপ্রবণ। এ এলাকায় বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প হল একটি বৃহত্তর বহুমুখী পানি সম্পদ প্রকল্প। এই প্রকল্প সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং জলবিদ্যুত উৎপাদনের জন্য ১৯৭৭ সালে নির্মাণ শুরু হয়। একাধিক আন্তঃসংযুক্ত ব্যারাজ ও প্রধান সেচ নালা, শাখা নালাসহ প্রকল্পটি বিশাল এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। ব্যারাজ পর্যন্ত তিস্তা নদীর ধরতি এলাকার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার। তিস্তা সেচ এলাকায় বার্ষিক বৃষ্টিপাতে বেশ পার্থক্য দেখা যায়। প্রায় ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৭ শত মিলিমিটার। নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই ৬ মাস শুষ্ক বা টান মৌসুম। শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমের পানি প্রবাহের মধ্যে বেশ পার্থক্য থাকে। তবে শুষ্ক মৌসুমে ডিসেম্বর ও মার্চ মাসের মধ্যে পানি প্রবাহের পার্থক্য কম। আবাদি জমির মাটির ধরণ বেলে বা এঁটেল দোঁআশ। আবাদি জমি বর্ষা মৌসুমে ধান এবং শুষ্ক মৌসুমে গম উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প নির্মাণ সমাপ্ত হলে পশ্চিম বাংলার পুরো উত্তরাঞ্চল জুড়ে নয় লক্ষ হেক্টরের বেশি এলাকা সেচাধীন হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সাথে হবে ৫৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন।
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পুরো সেচ এলাকায় পানি সরবরাহ করতে নির্মিত প্রধান বা মূল পানি সরবরাহ নালাগুলোর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২ শত কিলোমিটার এবং পুরো নেটওয়ার্কের সম্মিলিত দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে কয়েক হাজার কিলোমিটারে। প্রধান সেচ নালাসমূহের মধ্যে তিস্তা-জলঢাকা নালার উৎপত্তি তিস্তা ব্যারাজের বাম তীর থেকে এবং তিস্তা-মহানন্দ সংযোগ খালের উৎপত্তি তিস্তা ব্যারাজের ডান তীর থেকে। তিস্তা -মহানন্দ সংযোগ খাল তৈরি করা হয়েছে তিস্তা নদী থেকে পানি প্রবাহ মহানন্দ নদীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য ১৯৯৮ সাল থেকে তিস্তার পানি মহানন্দ প্রধান নালা দিয়ে মহানন্দ ব্যারেজের ডান তীরে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। তবে পানি সেচের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তিস্তা-মহানন্দ সংযোগ খাল দিয়ে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ইরিগেশন ও ওয়াটারওয়েস দপ্তরের নির্দেশাবলী অনুযায়ী তিস্তা ব্যারাজ পরিচালনা করা হয়। এতে অবকাঠামোর নিরাপত্তা অক্ষুন্ন রেখে সেচ ও বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য সর্বাধিক প্রবাহ বজায় থাকার প্রতি দৃষ্টি দেয়া হয়। সেচ দিয়ে বছরে একই জমিতে যেন একের অধিক ফসল আবাদ হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখা হয়। সেচ চাহিদা মিটানোর সাথে সাথে বিদ্যুত উৎপাদনও থাকবে একটি ধারাবাহিক উপাদান। তবে রাজ্যেও নীতি অনুসারে সেচ পানি সরবরাহে প্রাধান্য দেয়া এবং বর্ষাকালে পানি প্রবাহ যখন বেশি থাকবে তখন বিদ্যুত চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা হয়ে থাকে। প্রকল্পের দক্ষ পরিচালনার জন্য তথ্য প্রযুক্তি বা আইটি-ভিত্তিক উন্নত ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি স্থাপন করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে বার্ষিক ও মৌসুমী সেচ পরিকল্পনা, সমন্বিত ব্যারাজ পরিচালনা এবং প্রধান সেচ নালা ও সংশ্লিষ্ট নেটওয়ার্ক পরিচালনা সূচী তৈরি করা হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে উত্তর বাংলা উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব স্থানীয় সাংবাদিকদের বললেন যে আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে জলপাইগুড়ির অবশিষ্ট আবাদি এলাকায় তিস্তা থেকে সেচ পানি সরবরাহ করা হবে। এ বাবদ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প দুই পর্যায়ে সম্পন করার পরিকল্পনা নিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ, বন্যা থেকে রক্ষা ও নিষ্কাশন সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে বাস্তবায়ন শুরু করা হয়। শুধুমাত্র সেচ সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ হেক্টর। মূল ভৌত অবকাঠামোসমূহের মধ্যে প্রায় ১৩ হাজার কিউসেক পানি নির্গমন ক্ষমতা সম্পন্ন ৬ শত মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের ব্যারাজ ও প্রায় ৩ শত কিউসেক পানি নির্গমন ক্ষমতা সম্পন্ন ১ শত মিটারের কিছু বেশি দৈর্ঘ্যের হেড রেগুলেটর। এছাড়া সেচ নালা নেটওয়ার্ক, নিশষ্কাশন খাল ও বন্যা বাঁধ নির্মাণ অন্তর্ক্তুক্ত ছিল। লালমনিরহাট জেলার ডালিয়াতে তিস্তা নদীর উপর ব্যারাজ তৈরি সম্পন্ন হয় ১৯৯০ সালে। সীমিত সেচ পানি সরবরাহ অবকাঠামো নিয়ে এই ব্যারেজ ১৯৯৩ চালু করা হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হয়। এই পর্বে ৩ শত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মূল নালা, প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্য দ্বিতীয় শাখা বা সেকন্ডারী নালা ও ২ হাজার ৭ শত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের তৃতীয় শাখা বা টার্শিয়ারী নালা এবং ৮ হাজার সেচ পানি নির্গমন মুখ বা আউটলেট তৈরি করা হয়। যাতে করে ১ লক্ষ ১১ হাজার হেক্টর জমিতে বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত সেচ দেয়া যায়। প্রথম পর্যায়ের কাজ সমাপ্তির পর ১৯৯৮ সালে সেচ এলাকার লক্ষ্যমাত্রা বর্ষা মৌসুমে সর্বোচ্চ ২০ হাজার হেক্টর এবং বর্ষাপূর্ব মৌসুমেও একই পরিমাণ জমি নির্ধারণ করা হয়। ওই বছর বাংলাদেশে তিস্তা নদীর সর্বোচ্চ পানি প্রবাহ ছিল ২০৩ ঘনমিটার/সেকেন্ড, সর্বনিম্ন ৯০ ঘনমিটার/সেকেন্ড এবং গড়ে ১৪৭ ঘনমিটার/সেকেন্ড। সর্বোচ্চ, সর্বনিম্ন ও গড় প্রবাহ থেকে সেচ পানি চাহিদার যথাক্রমে শতকরা ৮০, ৩৫ এবং ৫৮ ভাগ পূরণ করার জন্য যথেষ্ট ছিল। পরের বছর সর্বোচ্চ প্রবাহ থেকে সেচ পানি চাহিদার শতকরা ৩২ ভাগ পূরণ সম্ভব হয়। পরবর্তী চার বছরের মধ্যে বেশি সবচেয়ে প্রবাহ ছিল ২০০০ সালে। ওই বছর সর্বোচ্চ, সর্বনিম্ন ও গড় প্রবাহ ১৯৯৮ সালের তুলনায় যথাক্রমে শতকরা ২০, ৮১ ও ৩৯ ভাগ বেশি ছিলো। তবে ২০০২ সালে ১৯৯৮ সালের তুলনায় সবরকম প্রবাহ এক-চতুর্থাংশ হ্রাস পায়। সর্বোচ্চ প্রবাহ সেচ পানি চাহিদার শতকরা ৬০ ভাগ পূরণ করার জন্য যথেষ্ট ছিল। যাহোক, তিস্তা নদীর পানি ব্যবহার করে ২০০১ সাল পর্যন্ত অর্জিত পরিমাণ ছিল বর্ষা মৌসুমে সেচ লক্ষ্যমাত্রার সর্বোচ্চ শতকরা ৮০ ও সর্বনিম্ন ২১ ভাগ এবং বর্ষাপূর্ব মৌসুমে সেচ লক্ষ্যমাত্রার সর্বোচ্চ শতকরা ১০০ এবং সর্বনিম্ন শতকরা ৩৪ ভাগ। মাঠ পর্যায়ে ২০০৩ সালে এক সমীক্ষাকালে তিস্তা ব্যারাজ থেকে ৬ কিলোমিটার ভাটায় নিলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলাধীন খালিশা চাপানি গ্রামের কৃষকেরা তিস্তার পানি ব্যবহারে সেচ খরচ উল্লেযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে বলে জানায়। তাদের মতে নদীর পানি সেচে খরচের পরিমাণ ভূগর্ভস্থ পানি সেচে প্রয়োজনীয় খরচের পাঁচ ভাগের এক ভাগ। আট কিলোমিটার ভাটায় ঝুনাগাছ চাপাই ইউনিয়নের কৃষকেরা ১৯৯৮ সালের বর্ষা মৌসুমে সেচ দিয়ে প্রায় ১৬ শত হেক্টর জমি চাষ করতে পারে। পরবর্তী কয়েক বছর তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেলেও ২০০০ সালে হ্রাস পায়। তবে বর্ষাপূর্ব মৌসুমে সেচাধীন জমি ১৯৯৯ সালে ১১ শত হেক্টর থেকে শুরু করে ২০০২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৩ সালে হ্রাস পায়। দশ কিলোমিটার ভাটায় নাওতারা গ্রামে সেচ পানি ব্যবহার করে বছরে দুই ফসল আবাদ শুরু করে। এতে শ্রমিক চাহিদা বৃদ্ধি পায়, সেই সাথে মজুরিও। জলঢাকা উপজেলাধীন বড়ঘাট চ্যাংমারী গ্রামটি ব্যারাজ থেকে ২৫ কিলোমিটার ভাটায় অবস্থিত। এই গ্রামে তিস্তা নদীর পানি দিয়ে সেচ শুরু হয় ২০০০ সালের দিকে। এই সুবিধা পাওয়ার ফলে সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীলতা কমে আসে। গ্রামে অগভীর নলকূপের সংখ্যা ৫ শত থেকে কমে ১ শতের কাছাকাছি চলে আসে। নদীর পানি দিয়ে সেচ দেয়ার ফলে বর্ষা মৌসুমে আবাদি আমন ধানের ফলন শতকরা ৫০ ভাগ এবং শুষ্ক মৌসুমে আবাদি বোরো ধানের ফলন শতকরা ৩০ ভাগ বৃদ্ধি পায়। সেচের জন্য পানি পাওয়ায় উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধি পায়। এই সুযোগ পেয়ে অন্যান্য কৃষকেরা আরও সেচ নাল নির্মাণের দাবী করে। ব্যারাজ থেকে ৫০ কিলোমিটার ভাটায় সুবর্নখালী গ্রামে সেচের জন্য তিস্তা নদীর পানি শুধুমাত্র শুষ্ক মৌসুমে পাওয়া যায় বলে জানা যায়। তবে পানি পেতে দেরি হয় এবং তা অনিশ্চিত হয়ে পরে। এই গ্রামের কৃষকেরা সংগঠিত হয়ে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপ তৈরি করে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প থেকে সেচ সুবিধা আদায়ের জন্য। তাদের মতে নদীর পানি পেলে ফসল উৎপাদন খরচ কমে এবং ফলনও বেশি পাওয়া যায়। ডিমলা উপজেলা কৃষি কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জানা যায় যে আমন ধানের জমিতে সাম্প্রতিক কালে খরার প্রকোপ বেশি হওয়ায় এবং বৃষ্টিকাল আগের তুলনায় আগাম শেষ হওয়ায় সেচ চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছ। এই এলাকার মাটির নিচের স্তর বালুময় হওয়ায় জমি থেকে পানি নিঃসরণ দ্রুত হয়। বৃষ্টিপাত কম বা না হওয়ায় বা বর্ষাকাল আগাম শেষ হওযায় আমন ধানে ফুল আসার সময় জমিতে খরার প্রকোপ হয়। এতে ফলন মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়।
যাহোক উভয় দেশেই অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে তিস্তা নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতে নির্মিত তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের উদ্দেশ্য মুলত দু’টি। প্রথমত নয় লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ পানি সরবরাহ। দ্বিতীয়ত জলবিদ্যুৎ উৎপাদন। অধিকন্তু তিস্তা নদীর পানি মহানন্দ নদীতে স্থানান্তরণ। আর বাংলাদেশে নির্মিত তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের উদ্দেশ্য মুলত একটি। সাড়ে ৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ পানি সরবরাহ করে দেশের বৃহত্তর এক জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য উৎপাদন ও কর্মসংস্থান। সেই সাথে আছে পরিবেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ভূগর্ভস্থ পানির আধার পূনর্ভরণের বিষয়। তবে উভয় দেশেই, তিস্তা নদীর উজানে ভারতে ও ভাটায় বালাদেশে সেচ লক্ষ্যমাত্রা এখনও পর্যন্ত অর্জিত হয় নি। বাংলাদেশে প্রথম পর্যায়ের লক্ষমাত্রা যা মোট লক্ষ্যমাত্রার পাঁচ ভাগের এক ভাগ তাও অর্জন করা সম্ভব হয় নি। এই অবস্থায় তিস্তা নদীর পানির হিস্যার দেয়া নেয়ার হিসাব মেলানো মনে হয় বেশ জটিলতর হবে। এ প্রসঙ্গে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক কনফারেন্সে বাংলাদেশে প্রাক্তন ভারতীয় হাই কমিশনার বীণা সিকরির তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তির জন্য জলতত্ব বিশ্লেষণের পরামর্শ প্রদানের বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। সেই সাথে ভারতের দক্ষীণ-পশ্চিম অঞ্চলে পানি সরবরাহের জন্য তিস্তাসহ ৩০টি প্রধান নদীর সংযোগ পরিকল্পনা মনে হয় এখনও উদ্বেগের বিষয়।
কিউ আর ইসলাম : গ্লোবাল ওয়াটার পার্টনারশীপের স্থানীয় চ্যাপ্টার বাংলাদেশ ওয়াটার পার্টনারশীপের নির্বাহী কমিটির সদস্য।
No comments:
Post a Comment