8 March 2016

সোমেশ্বরী নদী

নেত্রকোনা আর সোমেশ্বরী নদীর রূপ

পাহাড়ি ঝরনার গর্ভে জন্মানো সোমেশ্বরী সীমান্তবাহী নদী। ভারতের মেঘালয় প্রদেশের গারো পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে সিঁথির মতো এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে। ধর্মপাশায় এসে সোমেশ্বরী দক্ষিণমুখি হয়ে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বালুয়া/বাউলাই নদীতে মিশেছে। পথে অতিক্রম করেছে দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, মধ্যনগর ও জামালগঞ্জ— অতিক্রান্ত দূরত্ব মোটে ১১৩ কিলোমিটার। দুর্গাপুরে এ নদীর একটি স্রোতধারা কংস নদীকে আলিঙ্গন করেছে। এটি শিবগঞ্জ ঢালা।
নিরবধি বহমান অনিন্দ্যসুন্দর সোমেশ্বরী স্থানীয়দের কাছে সুমেশ্বর নদী নামে পরিচিত। কয়লা আর পাথরের নদী সোমেশ্বরীর দু তীর বালুময় তট। এর স্রোতধারায় টলটলে নীল জলের অনবদ্য দান নানা জাতের মাছ, কয়লা আর পাথর। ভারতীয় সীমান্ত ঘেষে বহমান এ নদীটির দু তীর অপার সৌন্দর্যের উৎস। একে ঘিরেই গড়ে উঠেছে বহু লোকালয়: দুর্গাপুর, বিজয়পুর, শিবগঞ্জ বাজার, মধ্যনগর উপজেলা সদর, দৌলতপুর বাজার ও জয়শ্রী বাজার। মোহনীয় রূপের সোমেশ্বরীতে জোয়ারভাটা নেই; ভাটির নদী। অতীতের মতো এটি আর নাব্য নেই। এখন শিতকালে নদীটি হেঁটে পেরোনো যায়। নদীর বুক জুড়ে প্রান্তরের মতো সংখ্যাহীন চর। এ নদীকে ঘিরে বহু সংস্কৃতির মানুষের লোকালয়।
এ নদীটির অববাহিকার আয়তন ১,১৯৭ বর্গ কিমি। বাংলাদেশে এর দৈর্ঘ্য ১১৩ কিমি। গভীরতা কমে যাওয়ায় বর্ষাকালে এ নদী আশেপাশের অঞ্চল জুড়ে প্রায়শ বন্যার কারণ হয়ে দেখা দেয়।
পর্যটকদের সৌন্দর্য পিাপসা মেটায় স্বচ্ছতোয় এ নদী। এর পেছনের অংশে মেঘালয়ের মেঘছোঁয়া পাহাড়সারি। একটু দূরে আছে বিজয়পুরে লালচে-নীলচে-সাদাটে-হলদে-কালচে-গোলাপি-বেগুনি রঙের চিনামাটির পাহাড়, রানীখং-এ ৩১ জানুয়ারি ১৯৪৬-এ সংঘটিত টঙ্ক আন্দোলনের প্রথম শহিদ এবং ব্রিটিশবিরোধী নেত্রী হাজং রানীমাতা রাসমণি স্মৃতিসৌধ, ভারতীয় সীমান্ত পাহাড়, সাধু যোসেফের ধর্মপল্লী, গারো পাহাড়, সুসং দুর্গাপুর রাজবাড়ি যেটি এখন  কলেজ, বিরিশিরির আদিবাসী সাংস্কৃতিক একাডেমি এবং ছোটোবড়ো বেশকিছু হাওর।

সোমেশ্বরী নদীতে গোসল

সোমেশ্বরীতে চলছে মালবোঝাই নৌকা


নদীর গহীন থেকে তুলে আনা কয়লার স্তূপ

সোমেশ্বরীতে জেগে ওঠা চর


গভীরতা কম তবু চলছে ইঞ্জিনচালিত নৌকা

নদীর বুকের  খাচা দেখা যায়

মনে হয় গভীর

আসলে ‘আমাদের ছোট নদী’ : শীতের সময়

বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে

জেগে ওঠা চর এবং অগভীর সোমেশ্বরী

সবুজ পানির নিচে তলদেশ

ছবি যেন ছবির মতোন

চলছে এক পরিশ্রমী নারীর কয়লা উত্তোলন

পাহাড়ের শুরু ভারত সীমান্ত

যেন পান্না

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত গাছ এবং সীমানা পিলার

সোমেশ্বরীর মাঝখানে

এপার-ওপার

সাধু যোসেফের ধর্মপল্লী

সাধু যোসেফের ধর্মপল্লীর অভ্যন্তরে

প্রণাম মারীয়া

রানী খং ধর্মপল্লীতে ক্যাথলিক ধর্ম প্রচারের শতবর্ষ উপলক্ষে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ 

বিরিশিরি নয় বিজয়পুর চিনামাটির পাহাড়

চিনামাটির পাহাড় ও অভ্যন্তরস্থ লেক

চিনামাটির পাহাড় ও লেক

নানারঙের মাটি দিয়ে সৃষ্ট চিনামাটির পাহাড়

কেটে নেয়া হচ্ছে চিনামাটি

ছোট হয়ে যাচ্ছে চিনামাটির পাহাড়

এ মাটি দিয়ে তৈরি হয় চিনামাটির বাসনকোসন আর টাইলস

পাহাড়ের খাঁজে হাজার বছরের কান্না জমেছে

নান্দনিক বর্ণিল পাহাড়

প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট চিনামাটির পাহাড়

সৃষ্টি হচ্ছে খাদ

কমছে পাহাড়ের উচ্চতা তবে তবে বেড়েছে অন্তর্গত লেকের সৌন্দর্য

মনোলোভা সোন্দর্য

চিনামাটির পাহাড়, বিজয়পুর, নেত্রকোনা

গোলাপি মাটির পাহাড়

পাশেই সাদামাটির পাহাড়

চিনামাটির গোলাপি রাজ্যে

আদিবাসী সাংস্কৃতিক একাডেমি, বিরিশিরি, নেত্রকোনা  
   
কয়লার শোধনের পুকুর

সোমেশ্বরীর তীরে 

উদ্দাম কৈশোর

শীতকালে হেঁটে পেরোনো যায় সোমেশ্বরী

সোমেশ্বরীর মাঝখানে জেগে ওঠা তলদেশ

জেগে ওঠা চর নদীর মাঝখানে

পানি কম তাই নৌকা  চালাতে কষ্ট

 জেগে উঠেছে  বালুচর 

 পরিশ্রমী মানুষ

 চলছে কয়লা উত্তোলন
 নারকেল বাগান

 ভারত সীমান্ত দেখা যায়। বিস্তৃত বালুচর

পাহাড় ঘেষেই ভারত আর এখানে বাংলাদেশের সোমেশ্বরী

 সীমান্ত দেখা যায়। ওপারে কাঁটাতারের বেড়া




 রানীখং রোড

আদিবাসী নারী : শ্রমের বিশুদ্ধ উপমা 

 রানীখং রোড

 রানীখং থেকে দেখা সোমেশ্বরী

 সোমেশ্বরী

 রাশমণি স্মৃতিসৌধ

 চিনামাটির পাহাড়, বিজয়পুর

 মাঝখানে একটি লেক

 নান্দনিক সুন্দর

 নানা বর্ণের চিনামাটি

 নিসঃঙ্গ প্রান্তরে

 চিনামাটি উত্তোলনে চলছে লেক সেচন



প্রতিদিনকার মতো একটি সূর্যাস্ত

Someswari River

Link for further reading:

Someshwari River - Wikipedia


No comments:

Post a Comment

বালিয়া মসজিদ জ্বীনের মসজিদ  স্থানীয়ভাবে এবং লোকমুখে জ্বীনের মসজিদ নামে পরিচিত এ মসজিদটির প্রকৃত নাম ‘বালিয়া মসজিদ’। জমিদার মেহের বকস চৌধুরী ...