হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (র:)-এর মাজার
শাহ সুলতান বলখীর মাজার কমপ্লেক্স |
শাহ সুলতান দামেস্কে এক ধর্ম শিক্ষকের কাছে ১২ বছর শিক্ষার্জন করেন। পারস্য থেকে তিনি মাছের পিঠে আরোহন করে বগুড়ার বরেন্দ্রে (মহাস্থানগড়ে) আগমন করেন। মহাস্থানগড়ের প্রাচীন নাম ছিল বরেন্দ্র বা পুন্ড্র নগর। এক সময় মৌত, গুপ্ত, পাল ও সেন রাজাদের রাজধানি ছিল পুন্ড্রনগর। সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেন (১০৮২-১১২৫) যখন গৌড়ের রাজা ছিলেন তখন এই গড় অরক্ষিত ছিল । মহাস্থানের রাজা ছিলেন নল যার সাথে বিরোধ লেগে থাকত তার ভাই নীল-এর। এ-সময় ভারতের দাক্ষিণাত্যের শ্রীক্ষেত্র থেকে এক অভিশপ্ত ব্রাহ্মণ এখানে অসেন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে। তিনি পরশু বা কুঠার দ্বারা মাতৃহত্যার দায়ে অভিশপ্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনিই এই দুই ভাইয়ের বিরোধের অবসান ঘটান এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে রাজা হন। এই ব্রাহ্মণের নাম ছিল রাম। ইতিহাসে তিনি পরশুরাম নামে পরিচিত।
হযরত শাহ সুলতান বলখী (র:) প্রায় ১৫ বছর পরাক্রমশালী হিন্দু রাজা পরশুরামের সাথে যুদ্ধ করেন এবং অবশেষে তাকে পরাজিত করে এখানে ইসলাম প্রচার করেন।
মাজার প্রাঙ্গনে প্রবেশদ্বার |
সামনের অংশে কতগুলি বাঁধানো কবর |
মানত করার স্থান |
মাজার কমপ্লেক্স |
মাজারের সামনে |
মূল মাজার কমপ্লেক্স |
মাজার প্রাঙ্গনেই একটি আরামদায়ক ব্যবস্থার মসজিদ |
No comments:
Post a Comment