16 August 2011

৭৪ কিলোমিটারে ২০ মরণফাঁদ

লিমন বাসার, বগুড়া
ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ আর মোড়_এই নিয়ে উত্তরাঞ্চল মহাসড়কের বগুড়া সীমানার ৭৪ কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে ২০টি মরণ ফাঁদ। প্রতিবছর এ চিহ্নিত স্পটগুলোতেই ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। প্রাণ যাচ্ছে শত শত মানুষের। বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং হাইওয়ে পুলিশের তথ্য মতে, গত পাঁচ বছরে এ ২০ স্পটে দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৬০০ মানুষ। আহত হয়েছে আরো আট হাজার। আহতদের মধ্যে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। এ ২০টি স্পটের মধ্যে পাঁচটিকে মারাত্মক বিপজ্জনক হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে। এসব এলাকায় যানবাহনের গতি কমিয়ে ধীরে চালানোর নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু ফিটনেসবিহীন গাড়ির নিয়ন্ত্রণ অনভিজ্ঞ চালকের হাতে থাকায় প্রাণ দিতে হচ্ছে নিরীহ যাত্রীদের।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত পাঁচ বছরে ঘটে যাওয়া বেশির ভাগ দুর্ঘটনার ঘটনাস্থল হচ্ছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের উত্তরের সীমান্তবর্তী নয়মাইল, দশমাইল, গাড়ীদহ, মহিপুর, পৌরশহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড, ধুনটমোড়, কাঁঠালতলা, শেরুয়া বটতলা, কৃষ্ণপুর, মির্জাপুর, আমবাগান, ছোনকা, ঘোগা বটতলা, ঘোগাব্রিজ, ধনকুণ্ডি ও দক্ষিণের সীমান্তবর্তী সীমাবাড়ী থেকে শুরু করে বগুড়ার দক্ষিণ প্রান্ত গোকুল, মহাস্থানগড় ও মোকামতলা এলাকা। এসব স্থানে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৬০০ মানুষ। আহতের সংখ্যা প্রায় আট হাজার। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের বর্তমান অবস্থা অনেক ভালো। তাই আগে যেখানে এ সড়ক দিয়ে ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলত এখন সেই সড়ক দিয়ে ৯০-১২০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলে। তার ওপর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা ছাড়াই চালকরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান। অথচ মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে রয়েছে বিপজ্জনক বেশ কিছু মোড়। আরো রয়েছে বিভিন্ন এলাকাগামী সংযোগ সড়ক। এ ছাড়া মহাসড়কের একাধিক স্থান ঘিরে গড়ে উঠেছে হাট-বাজার ও অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। ফলে এসব স্থানে দিন-রাত জনসমাগম থাকে। বগুড়া সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হামিদুল হক জানান, সর্বশেষ ২০০৯ সালে উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের বগুড়া মাঝিড়া পয়েন্টে গাড়ি গণনা (এভারেজ ডেইলি ট্রাফিক বা এডিটি) করে দেখা গেছে, সেই সময় এ সড়কে প্রতিদিন ১৭ হাজার পিসিইউ (প্যাসেঞ্জার কার ইউনিট) গাড়ি চলাচল করেছে। যা তখনই সড়কের ধারণক্ষমতার চেয়ে তিন হাজার পিসিইউ বেশি ছিল।
Courtesy: Kaler Kantha

No comments:

Post a Comment

বালিয়া মসজিদ জ্বীনের মসজিদ  স্থানীয়ভাবে এবং লোকমুখে জ্বীনের মসজিদ নামে পরিচিত এ মসজিদটির প্রকৃত নাম ‘বালিয়া মসজিদ’। জমিদার মেহের বকস চৌধুরী ...